যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নানা বিতর্কিত পদক্ষেপে ক্ষতিগ্রস্ত বিজ্ঞানীদের ইউরোপে নিয়ে যেতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে ফ্রান্স ও ইউরোপীয় কমিশন। তাদের ইউরোপে থিতু করতে প্রণোদনা ঘোষণা করতে যাচ্ছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন।
Advertisement
সোমবার (৫ মে) প্যারিসের সোরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা ও গবেষকদের সঙ্গে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই প্রণোদনার ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন>>
ইইউর ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ইউরোপে টিকে থাকার লড়াইয়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা মেঘ-পাতার ভেতর দিয়েও দেখতে পারবে নতুন স্যাটেলাইটসম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিল কাঁটছাটসহ মার্কিন প্রশাসনের আরোপিত বেশ কিছু নীতির ফলে নিজেদের কাজের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত দেশটির অনেক গবেষক। সেসব মার্কিন গবেষককে ইউরোপে আমন্ত্রণ জানাতেই ইউরোপীয় কমিশনার ও একাডেমিকদের মিলিত উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
Advertisement
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, একাডেমিক স্বাধীনতা হুমকির মুখে থাকায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ইউরোপকে একটি আকর্ষণীয় মহাদেশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এই বিবৃতিতে।
দেশটির এক কর্মকর্তা বলেন, ইউরোপ এমন একটি জায়গা, যেখানে গবেষণার স্বাধীনতা রয়েছে, কোনো বিষয়ই এখানে নিষিদ্ধ নয়।
ফ্রান্স ও ইউরোপের এই উদ্যোগ গবেষণার স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেবে বলে মনে করেন তিনি। সোমবারে আয়োজিত ‘চুজ ইউরোপ ফর সায়েন্স’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটিতে স্বাস্থ্য (সংক্রামক রোগ), জলবায়ু গবেষণা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক বিজ্ঞানীদের আকৃষ্ট করতে ফ্রান্স বিশেষভাবে আগ্রহী বলে জানা গেছে।
এর আগে, এ বিষয়ে ইউরোপীয় কমিশনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেয় ১৩টি ইউরোপীয় দেশ। পরে এপ্রিল মাসে ফ্রান্স নিজস্ব উদ্যোগে চুজ ফ্রান্স ফর সায়েন্স চালু করা হয়। এই উদ্যোগের আওতায় আন্তর্জাতিক গবেষকদের জন্য আবেদন প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়।
Advertisement
ফরাসি গবেষণা মন্ত্রণালয় জানায়, কিছু বিদেশি গবেষক এরই মধ্যে ফ্রান্সে এসে দেশটির অবকাঠামোর সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন এবং তারা তহবিল ও প্ল্যাটফর্মের অপেক্ষায় আছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে হুমকির মুখে রয়েছেন এমন ও বিদেশে ফরাসি গবেষকদের আকৃষ্ট করতে নতুন একটি কর্মসূচি চালু করেছে ফ্রান্সের শীর্ষ গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস)।
সিএনআরএসের প্রেসিডেন্ট আঁতোয়ান পেতি বলেন, ট্রাম্পের আমেরিকায় যেসব গবেষক নিজেদের সন্তানদের বড় করতে চান না, তাদের ফিরিয়ে আনতে এই কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
সূত্র: এপি, ইউএনবিকেএএ/