দেশজুড়ে

অপরিপক্ব এক ট্রাক আম জব্দ করলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা

অপরিপক্ব এক ট্রাক আম জব্দ করলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা

সাতক্ষীরায় কেমিক্যাল দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করার সময় ট্রাকভর্তি গোবিন্দভোগ আম জব্দ করা হয়েছে। পরে সেগুলো নষ্ট করে ফেলা হয়।

Advertisement

শনিবার (৩ মে) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা বাইপাস সড়ক থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ট্রাকটি আটক করে প্রশাসনকে খবর দেন। ট্রাকটিতে ৪০০ ক্যারেট গোবিন্দভোগ আম ছিল।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোয়াইব আহমাদ জানান, সাতক্ষীরায় গোবিন্দভোগ আম বাজারজাতকরণের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু তার আগেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অপরিপক্ব আম বাজারজাতকরণের চেষ্টা করছিলেন। ছাত্রদের সহায়তায় আমগুলো জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে।

এসময় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরাফাত হোসাইন ও সাতক্ষীরা বড়বাজারের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আম ব্যবসায়ী জানান, সমন্বয়ক পরিচয়ে কয়েকজন যুবক বাইপাস এলাকায় তাদের ট্রাকটি আটকে রেখে এক লাখ টাকা দাবি করে। সেই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় তারা প্রশাসনের কাছে আমগুলো ধরিয়ে দেয়।

ওই ব্যবসায়ী আরও বলেন, জেলা প্রশাসনের ঘোষিত সময় অনুযায়ী ৫ মে থেকে গোবিন্দভোগ আম বাজারজাত করার কথা। আর মাত্র দুদিন বাকি। কিন্তু আমাদের বাগানের আম পেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এজন্য আমরা এই আম পেড়ে ঢাকায় পাঠাচ্ছিলাম।

একসঙ্গে এত আম পাকানো হলো কীভাবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইথোপিন স্প্রে করে আম পাকানো হয়েছে। তিনি দাবি করেন, সামন্য স্প্রে করা ইথোফেন মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়।

ইথোফেন দিয়ে ফল পাকানো বিষয়ে গবেষকদের ভিন্নমত রয়েছে। তবে বিবিসিতে প্রকাশিত এক সংবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক নাজমা শাহীন বলেন, পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট রাসায়নিক ব্যবহার করে ফল পাকিয়ে বাজারজাত করা হয়। ইথোফেন ব্যবহার করে ফল পাকালে কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে না। এটি এক ধরনের গ্যাস, যা ফলের ভেতরের এনজাইমকে প্রভাবিত করে। ফলে দ্রুতবেগে ফল পাকে।

Advertisement

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উন্নত বিশ্বে বর্তমানে ইথোফেন চেম্বারে ফল রাখা হয়। সেই ফল বিক্রির উদ্দেশ্যে বাজারে নেওয়ার পথে সাধারণত পেকে যায় ও খাওয়ার উপযোগী হয়।

আহসানুর রহমান রাজীব/এসআর/জেআইএম