জাগো জবস

বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি পেতে যেভাবে প্রস্তুতি নেবেন

বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি পেতে যেভাবে প্রস্তুতি নেবেন

মো. আবু সায়েম বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘সহকারী পরিচালক (জেনারেল)’ ব্যাচ-২৫ পদে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তিনি পশ্চিম কধূরখীল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। উভয় পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে মেধার স্বাক্ষর রাখেন। এরপর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের মার্কেটিং বিভাগ থেকে বিবিএ এবং এমবিএ সম্পন্ন করেন।

Advertisement

সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি পাওয়ার গল্প ও নতুনদের পরামর্শ নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আনিসুল ইসলাম নাঈম—

জাগো নিউজ: প্রথমেই শৈশব ও বেড়ে ওঠা সম্পর্কে জানতে চাই—মো. আবু সায়েম: আমার শৈশব কেটেছে চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম কধূরখীল গ্রামে। কর্ণফুলী নদীর তীরঘেঁষা সবুজে ঘেরা মনোরম পরিবেশে। এই গ্রাম ও প্রকৃতি আমার শৈশবের প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। মাধ্যমিক শিক্ষাজীবন পর্যন্ত সেখানেই কেটেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, মানুষের সরলতা আর নিঃস্বার্থ বন্ধুত্বে পরিপূর্ণ সময়টুকু আজও মনে পড়ে বিস্ময় ও আবেগ ভরা হৃদয়ে। স্কুলজীবন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে উজ্জ্বল ও আনন্দময় অধ্যায়। শিক্ষকদের স্নেহ-মমতা ও দিকনির্দেশনা আজও আমাকে পথ দেখায়। স্কুল মাঠ, ক্লাবঘর, পুকুরে ভেলা বানানো, বিকেলের ক্রিকেট ও ফুটবল ম্যাচ—সবই ছিল আনন্দের অবিচ্ছেদ্য অংশ। গ্রামের মেলা, ক্রিকেট ও ফুটবল টুর্নামেন্ট বা সন্ধ্যার আড্ডাগুলো হৃদয়ে এখনো অম্লান। ছোটবেলা থেকেই বইপড়ার প্রতি গভীর আগ্রহ ছিল। খেলাধুলার পাশাপাশি বইয়ের পাতায় হারিয়ে যাওয়া ছিল সবচেয়ে প্রিয় সময়। গ্রামে বেড়ে ওঠার কারণে পেশা সম্পর্কে জ্ঞানের পরিধি সীমিত ছিল—মূলত ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার পর্যন্তই চিন্তা বিস্তৃত ছিল।। বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল, আমি ডাক্তার হই এবং শৈশবে আমিও সেই স্বপ্নেই বিভোর ছিলাম। আমি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছি। আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে প্রতিটি পদক্ষেপেই ছিল চ্যালেঞ্জ। কিন্তু স্রষ্টার কৃপা, বাবা-মায়ের নিরন্তর সমর্থন এবং নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে সেই প্রতিকূলতা পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পেরেছি। এখন পেছনে তাকিয়ে দেখি—আমার শৈশব ছিল এক নির্মল আনন্দের গল্প, যা আমাকে আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে সহায়তা করেছে।

জাগো নিউজ: ছাত্রজীবনে সহশিক্ষা কার্যক্রম বা সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন?মো. আবু সায়েম: স্কুলজীবনে খেলাধুলার প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন ইভেন্টে নিয়মিত পুরস্কার পেতাম। আন্তঃউপজেলা ফুটবল টুর্নামেন্টে আমাদের স্কুল চ্যাম্পিয়ন হয়ে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজে আন্তঃজেলা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। সেই কলেজের পরিবেশ আমাকে এতটাই আকৃষ্ট করে যে, সেখানে পড়ার একটা সুপ্ত ইচ্ছা তখনই মনে জেগে ওঠে। পরে সেখানেই ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয়। কলেজে পড়াকালীন মঞ্চনাটকে অভিনয় করি এবং বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন ইভেন্টে পুরস্কৃত হই। কলেজের ফুটবল ও ক্রিকেট টিমের সঙ্গেও যুক্ত ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে নাটকের চিত্রনাট্য লিখতাম এবং বিভাগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজের লেখা নাটক বন্ধুদের সঙ্গে মঞ্চে উপস্থাপন করতাম।

Advertisement

জাগো নিউজ: বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরির স্বপ্ন দেখেছিলেন কখন থেকে? মো. আবু সায়েম: বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষদিকে যখন চাকরির প্রস্তুতি শুরু করি; তখনই বাংলাদেশ ব্যাংকে কাজ করার ইচ্ছে জাগে। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কাজ করার সুযোগ, এর মর্যাদা ও দায়িত্ববোধ আমাকে আকর্ষণ করে। বিভাগের অনেক বড় ভাই বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করতেন, তাদের দেখে ও পরামর্শে অনুপ্রাণিত হই।

জাগো নিউজ: বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি পাওয়ার গল্প শুনতে চাই— মো. আবু সায়েম: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগেই পরিবারের দায়িত্ব আমার কাঁধে আসে। বড় ছেলে হিসেবে গ্রাম থেকে শহরে পুরো পরিবারকে নিয়ে আসা এবং সংসারের চাপ সামলানো ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। টিউশন ও কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতার মাধ্যমে সংসার সামলে নিতে হয়েছে। অনার্স পরীক্ষার পরপরই বিয়ে করায় দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। বিজ্ঞান বিভাগের ব্যাকগ্রাউন্ড থাকায় উচ্চতর গণিত ও পদার্থবিজ্ঞান পড়াতাম, যা গণিতে আমার দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। এমবিএ চলাকালীন বুঝি—সরকারি চাকরি দেশের প্রেক্ষাপটে বেশি নিরাপদ। তাই ব্যাংকের দিকে মনোযোগ দিই। প্রথমে বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান শুরু করি। এমবিএর ক্লাস আর পরীক্ষার জন্য নিয়মিত চাকরির পড়াশোনা করা সম্ভব হতো না। এরপরেও চেষ্টা করতাম প্রতিদিন অল্প কিছু হলেও চাকরির পড়াশোনা করার। এমবিএ শেষ করার পর একটি প্রাইভেট ব্যাংকে জয়েন করি। ব্র্যাঞ্চের পরিবেশ ছিল অসাধারণ। স্যার এবং সহকর্মীদের থেকে আন্তরিকতা আর সহযোগিতা পাই। যার ফলে প্রাইভেট ব্যাংকের চাকরির চাপ কখনো অনুভব করিনি। প্রিলির জন্য প্রতিদিন একটি করে বিগত বছরের প্রশ্ন সমাধান করতাম। ছুটির দিনে বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ও ব্যাংকিং-সংক্রান্ত টপিক কভার করতাম। ইংরেজি অনুশীলনের জন্য কিছু ওয়েবসাইট এবং গণিতের জন্য কিছু প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতাম। লিখিত পরীক্ষার জন্য ফেসবুক গ্রুপে দেওয়া পেপার কাটিং পড়তাম অফিসের কাজের ফাঁকে ফাঁকে। ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং বাড়াতে ইংরেজিতে লেখা প্র্যাকটিস করতাম। ইংরেজি ও বাংলা পত্রিকা থেকে একটি করে আর্টিকেল পড়ে সামারি লিখতাম এবং অনুবাদ করতাম। এতে ফোকাস রাইটিং ও ট্রান্সলেশন অংশের জন্য ভালো প্রস্তুতি হতো। আরগুমেন্ট রাইটিংয়ের জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সহায়তা নিয়েছি, যা ফ্রি হ্যান্ড রাইটিংয়ের দক্ষতা বাড়িয়েছে। পরীক্ষার পূর্বে বাংলা ও ইংরেজিতে নিয়মিত কয়েক পৃষ্ঠা করে লেখার অভ্যাস করতাম। টাইম ম্যানেজমেন্ট শেখার জন্য বাসায় দুই ঘণ্টার পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষার অনুশীলন করতাম, যা লিখিত পরীক্ষায় অনেক কাজে লেগেছে। মৌখিক পরীক্ষার জন্য আত্মবিশ্বাস জরুরি। ব্যাংকিং জ্ঞান ও নিজের পঠিত বিষয় আর নিজের কর্মস্থলের কাজ সম্পর্কে ভালো দখল নিয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিই। শেষ পর্যন্ত কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্যের ফলস্বরূপ বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘সহকারী পরিচালক (জেনারেল)’ পদে নির্বাচিত হই।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক পদে প্রথম জান্নাত চাকরির সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না: ইরফানুল হক

জাগো নিউজ: বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি পেয়েছেন, অনুভূতি কেমন ছিল? মো. আবু সায়েম: আনন্দ, গর্ব ও কৃতজ্ঞতা—তিনটি শব্দই আমার অনুভূতি প্রকাশ করতে যথেষ্ট। এটি শুধু আমার একার অর্জন নয়; এটি আমার পরিবার, শিক্ষক, সহধর্মিণী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসা, দোয়া ও সহায়তার ফসল। নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কাজ করার সুযোগ পেয়ে। জাগো নিউজ: সব সময় কারা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন?মো. আবু সায়েম: আমার বাবা-মা সব সময় নীরবে আমাকে সাপোর্ট, ভালোবাসা ও মানসিক সাহস জুগিয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগই আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। তা ছাড়া আমার সহধর্মিণীর ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণা এ অবস্থানে নিয়ে এসেছে। আমার সহধর্মিণী জীবনের কঠিন সময়েও আমার পাশে ছিলেন। শিক্ষক, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং কয়েকজন বড় ভাইয়ের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনাও ছিল গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisement

জাগো নিউজ: বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি পেতে কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন? মো. আবু সায়েম: নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। প্রতিদিন কিছু না কিছু পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। সব কিছু পড়ার চেষ্টা করলে প্রস্তুতির শুরুতেই হতাশ হয়ে যাবেন। আমি সব সময় ৮০/২০ রুল ফলো করতাম। পরীক্ষায় অধিকাংশ প্রশ্ন আসে ২০% নির্দিষ্ট কিছু টপিক থেকেই। আমি সেই ২০%-এর ওপর গুরুত্ব দিতাম। এ ছাড়া কোন টপিকে কম সময়ে এবং অল্প পড়ায় বেশি নম্বর তোলা যাবে, সেটা আগে ঠিক করে সে অনুযায়ী পড়তাম। প্রিলির জন্য বিগত বছরের প্রশ্নপত্র ও মডেল টেস্ট অত্যন্ত কার্যকর। ইংরেজি গ্রামার, ভোকাব্যুলারি, অ্যানালজিসহ বিভিন্ন বিষয়ের জন্য ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন গ্রুপে দেওয়া পিডিএফ নোট কাজে লাগে। ইংরেজিতে ভোকাব্যুলারি পার্ট থেকে বেশি প্রশ্ন আসে। এ জন্য ভোকাব্যুলারি (অন্তত ৩৩৩ হাই ফ্রিকোয়েন্সি ওয়ার্ডস), অ্যানালজি, ওয়ান ওয়ার্ড সাবস্টিটিউশন, মিসিং ওয়ার্ড, গ্রুপ ভার্ব, স্পেলিং, সিনোনিম, অ্যান্টোনিম, এরর ডিটেকশন, অ্যাপ্রোপ্রিয়েট প্রিপোজিশান—এসবে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত। গণিত দ্রুত সমাধান করার টেকনিক আয়ত্ত করতে হবে। এ জন্য ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও পাওয়া যায়, যা খুব কার্যকর। বই থেকে ম্যাথ করার পাশাপাশি ওয়েবসাইট থেকে ম্যাথ প্রাকটিস করা উচিত। বাংলা সাহিত্যের চেয়ে বাংলা ব্যাকরণে বেশি সময় দেওয়া উচিত। এ ছাড়া বাগধারা, এককথায় প্রকাশ, প্রবাদ প্রবচন, সমার্থক শব্দ এসবে জোর দেওয়া উচিত। ব্যাকরণ অংশে যেসব টপিক থেকে বেশি প্রশ্ন আসে; সেসব একটু ভালো করে দেখে যাওয়া উচিত। সাহিত্যের জন্য প্রাচীন যুগ ভালো করে শেষ করে এরপর মধ্যযুগ থেকে যতটুকু পারা যায় পড়া। আধুনিক যুগ থেকে বাছাইকৃত কিছু সাহিত্যিকের সাহিত্যকর্ম পড়লে যথেষ্ট। আইসিটি অংশের জন্য বিগত বছরের প্রশ্ন যথেষ্ট বলে আমার মনে হয়। সাধারণ জ্ঞানের জন্য মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, খেলাধুলা (ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস বিশেষ করে সমসাময়িক ইভেন্টগুলো), উপজাতি আর আন্তর্জাতিক অংশের জন্য বিভিন্ন সংস্থা বা সংগঠন, চুক্তি, প্রণালি এসব যথেষ্ট। সংস্থা বা সংগঠন অবশ্যই অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে দেখে যাবেন। কারণ সদস্য আর সংস্থার প্রধান কিন্তু পরিবর্তন হয়। সাম্প্রতিকের জন্য কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স প্রতি মাসে পড়তে পারলে ভালো। আর সমসাময়িক বিষয়ে আপডেট থাকার জন্য ইউটিউব থেকে আল-জাজিরা, বিবিসি নিউজ, সময় টিভি বুলেটিন, যমুনা আই ডেস্ক—এসব সংবাদ চ্যানেল দেখতে পারলে ভালো।

লিখিত পরীক্ষায় মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে সবকিছু সুন্দর করে খাতায় উপস্থাপন করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। টাইম ম্যানেজমেন্টের জন্য ২০০ নম্বরের মডেল টেস্ট দিতে পারলে খুব ভালো হয়। কোন টপিকের জন্য কতটুকু সময় দেবেন তা আগে থেকেই নির্ধারণ করে নিতে হবে এবং বাসায় সে অনুযায়ী অনুশীলন করতে হবে। লিখিত পরীক্ষার জন্য ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং প্র্যাকটিস করার বিকল্প নেই। এ জন্য ভালো হয় প্রতিদিন একটা ইংরেজি আর একটা বাংলা পত্রিকা থেকে অন্তত একটা করে আর্টিকেল পড়া। বাংলা পত্রিকা থেকে পড়া বিষয়টি ইংরেজিতে অনুবাদ করার চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি বাংলা ও ইংরেজিতে নিয়মিত দুই বা তিন পৃষ্ঠা লেখার অভ্যাস করতে পারলে ভালো। আরগুমেন্ট রাইটিংয়ের নির্দিষ্ট ফরমেট জানা থাকলে পরীক্ষায় বেগ পেতে হয় না। আরগুমেন্ট রাইটিংয়ের জন্য চ্যাটজিপিটির সাহায্য নেওয়া যায়। আরগুমেন্ট রাইটিংয়ের ক্ষেত্রে আমি উদাহরণ দেওয়ার চেষ্টা করতাম। ফোকাস রাইটিংয়ে ভালো করতে—Subject/Topic Knowledge, Presentation, Grammar (accuracy and range), Data/Example-এই ৪টা ফ্যাক্টর মাথায় রেখে লিখতে পারলে লেখার মান ভালো হয়। এ ছাড়া অর্থনৈতিক সমীক্ষা, বাজেট এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে কিছু নির্ভরযোগ্য ডাটা জানা থাকলে তা লেখাকে সমৃদ্ধ করে। গণিতের জন্য বইয়ের পাশাপাশি ওয়েবসাইট থেকে ম্যাথ প্র্যাকটিস করতে পারলে ভালো। সাধারণ জ্ঞানের জন্য প্রিলির প্রস্তুতিই লিখিত পরীক্ষায় কাজে দেবে।

জাগো নিউজ: আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?মো. আবু সায়েম: বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করা এবং নিজেকে আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা আমার প্রধান লক্ষ্য। ভবিষ্যতে দেশের আর্থিক খাতে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে চাই। বাংলাদেশ ব্যাংকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষার সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই।

এসইউ/এমএস