চলতি বছর ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে হজ রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সৌদি হজনীতি ও চুক্তি অনুসারে আসন্ন মওসুমে যারা হজে যাবেন তাদের বাড়িভাড়া ও ক্যাটারিং সার্ভিসসহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ৫ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়।নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় এ সব কার্যক্রম শেষ করতে ৪৮৩ এজেন্সির মোনাজ্জেমদের (প্রতিনিধি) সৌদি আরব যাওয়া প্রয়োজন হলেও এখনও পর্যন্ত কোন এজেন্সির মোনাজ্জেম সৌদি আরব যাননি বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। সৌদি আরব জেদ্দার বাংলাদেশ হজ অফিসের কাউন্সেলর (হজ) মুহাম্মদ মাকসুদুর রহমান ২৬ মে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে লেখা এক চিঠিতে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি বেসরকারি হজযাত্রীর চূড়ান্ত সংখ্যা জানানো ও মোনাজ্জেমদের সৌদি আরব পাঠানোর তাগিদ দিয়েছেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রকৃত হজযাত্রী সংখ্যা জরুরি ভিত্তিতে জানানো প্রয়োজন। চলতি বছর হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী এজেন্সির সংখ্যা ৪৮৩টি। কিন্তু এজেন্সিভিত্তিক প্রকৃত হজযাত্রীর সংখ্যা পাওয়া যায়নি। ফলে ই-হজ সিস্টেমে রেজিষ্ট্রেশনকৃত এজেন্সিসমূহের তথ্যসমূহ হালনাগাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। যা সৌদি হজ নীতি/চুক্তির বিধানমতে মারাত্মক সমস্যার কারণ হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বাংলাদেশের জন্য ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জনের হজের কোটা বরাদ্দ রয়েছে। নির্ধারিত কোটার বিপরীতে সরকারি পর্যায়ে ৫ হাজার ১ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ৩৫ হাজার ৪৪১ জনসহ ১ লাখ ৪০ হাজার ৪৪২ জন প্রাক নিবন্ধন করেন।সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২৯ মে পর্যন্ত প্রাক নিবন্ধনকৃতদের মধ্যে থেকে সরকারিভাবে মাত্র ৩ হাজার ও বেসরকারিভাবে ১০ হাজার ৪৭৯ জন নিবন্ধন করেছেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে আগামীকাল (মঙ্গলবার) নিবন্ধনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়াধীন পরিচালক (হজ অফিস, ঢাকা) আবু সালেহ মোস্তফা কামাল সম্প্রতি জাগো নিউজকে জানিয়েছিলেন, ব্যাংকে টাকা দেয়ার পর প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাইয়ে সময় বেশি লাগছে। নির্ধারিত ৩১ মের মধ্যে নিবন্ধনের সংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। এমইউ/জেএইচ/এমএস
Advertisement