রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনসহ বেশকিছু সবজির দাম বেড়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে রসুন, কাঁচামরিচ ও ডিমের দামও। তবে দাম কমেছে মুরগির। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে, চাল, ডাল, মাছ ও মাংসের দাম।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, চিকন বেগুন ৪৫-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকায় এবং গোল বেগুন ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতো ৫৫-৬০ টাকা, টমেটো ২৫-৩০ টাকা, গাজর ২৫-৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, ঝিংগা ৫০-৬০ টাকা, চালকুমড়া (আকার ভেদে) ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, সজনে ৮০-১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০-১৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫৫-৬০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০-৮০ টাকা ও কচুর লতি ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৩০-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫-৬০ টাকা, আদা ১২০-১৪০ টাকা, দেশি রসুন ১১০-১২০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০-১৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০ টাকা ও লেবুর হালি ২০-২৫ টাকা থেকে কমে ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
Advertisement
এছাড়া শুকনা মরিচ ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি ও সব ধরনের শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতোই ১৫-১৮ টাকা, শিল আলু ৩০-৩৫ টাকা, ঝাউ আলু ৩০-৩৫ টাকা এবং বগুড়ার লাল পাগড়ি আলু ২৫-৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা আলম মিয়া বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কিছুটা চড়া। প্রায় প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে। কয়েকদিন থেকে এ অঞ্চলের আবহাওয়া খারাপ। অনেকেই ক্ষেত থেকে সবজি তুলে বাজারে আনতে পারেননি। এ কারণে সরবরাহ কম। তাই দাম বাড়ছে।
মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমে কেজিপ্রতি ১৬০-১৭০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৬০-২৭০ টাকা, পাকিস্তানি (হাইব্রিড) ২৪০-২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত অবস্থায় ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম বেড়েছে। পোলট্রি মুরগির (লাল) ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৫ টাকায়।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৫-২০০ টাকায় এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিকন মসুর ডাল আগের মতোই ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ডাল ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৪০ টাকা, চিনি ১২০ টাকা, ছোলাবুট ১১০-১২০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০-৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
Advertisement
চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে আগের মতোই স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৮০-৮৫ টাকা, জিরাশাইল ৭৩-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৯০-৯৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৯৫-৯৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুই মাছ ২৭০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, পাঙাস ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছি মাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিও বাজারের মুরগি বিক্রেতা হামিদুল ইসলাম বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে মুরগির দর কমতির দিকে। বাজারে মুরগির আমদানি পর্যাপ্ত। সে তুলনায় চাহিদা কম।
জিতু কবীর/এমএন/জিকেএস