রাজনীতি

বাজেট গতানুগতিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানোর প্রতিফলন নেই

বাজেট গতানুগতিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানোর প্রতিফলন নেই

২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত বাজেটকে ‘গতানুগতিক’ মন্তব্য করে এ বাজেটে ‘গণ-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই’ বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে খেলাফত মজলিস।

Advertisement

সোমবার (২ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট ঋণনির্ভর, বৈষম্য হ্রাসে অকার্যকর এবং জনগণের কাঁধে বাড়তি করের বোঝা চাপিয়ে দেবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেটে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি রয়েছে, যা জিডিপির ৩.৬০ শতাংশ। এই ঘাটতি পূরণে দেশি-বিদেশি ঋণ নিতে হবে, যার সুদ পরিশোধেই যাবে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা। ফলে বাজেটের একটি বড় অংশ পরিচালন ব্যয় ও সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে, যা কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পথ রুদ্ধ করবে।

বিবৃতিতে তারা জানান, বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫.৫০ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির হার ৬.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও, তার বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

Advertisement

তারা বলেন, রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হলেও, তা পূরণ করতে জনগণের ওপর অতিরিক্ত করের চাপ বাড়বে। ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা ৩.৫ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি না করায় মধ্যবিত্ত শ্রেণি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও মন্তব্য করেন তারা। এছাড়া, ই-কমার্স পণ্য বিক্রয়ে ভ্যাট হার ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ করায় অনলাইন কেনাকাটায় ব্যয় বাড়বে।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনার ফলে উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ কমিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা করায় হতাশা প্রকাশ করেন তারা।

খেলাফত মজলিস নেতারা বলেন, বিগত সরকারের দুর্নীতি, অপচয় ও অব্যবস্থাপনার কারণে অর্থনীতি চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এ সংকট থেকে উত্তরণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, দুর্নীতির পথ রুদ্ধ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি ও পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় বিবৃতিতে।

এএএম/এমকেআর

Advertisement