প্রতিষ্ঠার দুই যুগ পর স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সনদপত্র পেয়েছে দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
Advertisement
সোমবার (২৮ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১ শাখা থেকে চিঠি পাঠিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মতামত অনুযায়ী- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ১০ মোতাবেক ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির (প্রগতি সরণি, খ-২২৪, মেরুল বাড্ডা, ঢাকা-১২১২) অনুকূলে স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সনদপত্র প্রদান করা হলো।
ইউজিসি সূত্র জানায়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর ১২(১) ধারা অনুসারে, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়কেই স্থায়ী সনদ নিতে হবে। প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের দেওয়া সাময়িক অনুমতির মেয়াদ সাত বছর। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আবেদন করলে সরকার তিন দফায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দিতে পারে।
Advertisement
অর্থাৎ ১২ বছরের মধ্যে আইনে নির্ধারিত পরিমাণ জমিতে নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর ওই বিশ্ববিদ্যালয় আইন ভঙ্গকারী বলে বিবেচিত হবে। সেই হিসাবে প্রায় ১২ বছর আইন ভঙ্গ করে কার্যক্রম চালানোর পর অবশেষে সনদ পেয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাক ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ। রাজধানীর মহাখালীতে মাত্র তিনটি বিভাগ এবং ৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির অস্থায়ী ক্যাম্পাসের যাত্রা শুরু হয়। দুই বছর আগে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে যায় বিশ্ববিদ্যালয়টির সকল কার্যক্রম।
ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ১১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থায়ী সনদ নিয়েছে হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি। শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অধিকাংশের স্থায়ী সনদ নেই।
১২ বছরের বেশি সময় পার হয়ে গেছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাও এখন অর্ধশতের বেশি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থায়ী সনদ অর্জন করতে না পারা এসব বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির চোখে ‘আইন ভঙ্গকারী’।
Advertisement
এএএইচ/এমআরএম/জিকেএস