চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবির বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মামলা করেছেন মোবিনুর রশীদ চৌধুরী নামের এক বিএনপি নেতা। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কর্ণফুলী থানায় মামলাটি দায়ের হয়। মোবিনুর রশীদ চৌধুরী কর্ণফুলী থানার বড়উঠান ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি।
Advertisement
গত বৃহস্পতিবার রাতে দায়ের হলেও শনিবার রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাদী বিএনপি নেতার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করা হয়। হামলার শিকার বাদী বলাকা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড বালু বিক্রয় কেন্দ্রের স্বত্বাধিকারী।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কর্ণফুলী থানার দৌলতপুরের মো. পারভেজ (৩০), পটিয়া থানার কৈয়গ্রাম এলাকার মো. রিপন (২৮), দৌলতপুরের নেজাম প্রকাশ বাল্লা (৩২), কর্ণফুলীর শাহমীরপুর এলাকার ইলিয়াস হোসেন প্রকাশ সাদ্দাম (৩০), দৌলতপুরের শাহাজাহান প্রকাশ মধু (৫০), দৌলতপুরের মো. ওসমান প্রকাশ ইউইউ (৩০), কৈয়গ্রাম এলাকার মনজুর আলম (৩০), শাহমীরপুরের নাঈম (২৮) এবং পটিয়ার তানভীর (২৮)। এছাড়াও আরও ১৪-১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবিকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর দেড়টায় উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের শাহমীরপুর এলাকায় বড়উঠান ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মোবিনুর রশীদ চৌধুরীর মালিকানাধীন বলাকা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামক বালি বিক্রয় কেন্দ্রে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় মোবিনুর রশীদ চৌধুরী, তার ভাই মো. হোসেন (৪৪), ব্যবসায়িক অংশীদার বড়উঠান ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান লিটন (৪৭) গুরুতর আহত হন।
Advertisement
এসময় হামলাকারীরা অফিসের আসবাবপত্র, সিসি ক্যামেরা ও মনিটর ভাঙচুর করেন এবং নগদ ২ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এমনকি চাঁদা না দিলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করাসহ মেরে ফেলার হুমকি দেন তারা।
কর্ণফুলী থানার ওসি মুহাম্মদ শরীফ বলেন, দুদিন আগে বড়উঠানের শাহমীরপুর এলাকার বালু বিক্রয় কেন্দ্রে হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় জানি না। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবি'র মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এমডিআইএইচ/এমএইচআর/জেআইএম
Advertisement