স্বাস্থ্য

বিএমইউ ঢেলে সাজাতে যেসব সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন

বিএমইউ ঢেলে সাজাতে যেসব সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন

বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটিকে (বিএমইউ) পুনর্গঠনের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন। সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি গভীর দলীয়করণ, রাজনৈতিক নিয়োগ এবং দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

Advertisement

জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বে গঠিত ১২ সদস্যের সংস্কার কমিশনের সুপারিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে, একে গুরুত্বপূর্ণ উচ্চমান ক্ষমতা সম্পন্ন, অরাজনৈতিক এবং পেশাদার নেতৃত্বাধীন কমিটির মাধ্যমে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে।

গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বা বিএসএমএমইউ নামে পরিচিত এ প্রতিষ্ঠানটিকে নতুন করে বিএমইউ নামকরণ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মান অর্জনের ক্ষেত্রে এ প্রতিষ্ঠানটির অগ্রগতি দৃশ্যমান নয়। তাই প্রশাসনিক, একাডেমিক ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে দক্ষ, অভিজ্ঞ ও মেডিকেল এডুকেশন উইংকে জনস্বাস্থ্য চাহিদা, গুণগত মান, গবেষণা ও প্রশিক্ষণভিত্তিক একটি সক্ষম ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করে নতুন কাঠামো তৈরি করতে হবে।

Advertisement

মেডিকেল শিক্ষার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, অন্যান্য মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস, বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর জন্য বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশনের (বিএইচসি) মেডিকেল এডুকেশন উইংয়ের অধীনে পৃথক বিসিপিএস, প্রাথমিক পর্যায়ে পুরাতন আটটি সরকারি মেডিকেল কলেজ এবং পরবর্তী সময়ে সব মেডিকেল কলেজ, স্বশাসিত শাসন কাঠামো গঠন করতে হবে।

আরও পড়ুন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দিতে পারবেন সিভিল সার্জনরা  ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা চান সিভিল সার্জনরা 

বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি আইনের সংস্কার করে কার্যকর পরিচালন কাঠামো উপযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা নিশ্চিত করতে হবে।

স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি ও অন্যান্য মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়-সংযুক্ত হাসপাতালসমূহ (ইউনিভার্সিটি হাসপাতাল) সরাসরি প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে নিজস্ব বোর্ড অব গভর্নেন্স-এর মাধ্যমে পরিচালিত হবে, যাতে নীতিনির্ধারণ ও ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিশ্চিত হয়।

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় প্রথমে নির্মাতা দেশ কোরিয়ান কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালনার সম্ভাব্যতা যাচাই করে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটির অধীনে হস্তান্তর করা হবে। তবে তা একটি স্বশাসিত ইউনিট হিসেবে পরিচালিত হবে।

Advertisement

প্রতিবছর বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় এবং বিদেশগামী রোগীর সংখ্যা হ্রাসের লক্ষ্যে একটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে ক্যানসার, ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি, ইমেজিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে স্বশাসিত ইনস্টিটিউট স্থাপন করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ:

বাংলাদেশে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন (বিএইচসি)-এর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল উইং একটি সর্বজনীন বিজ্ঞাপন প্রচার করবে। এই বিজ্ঞাপনে নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার মানদণ্ড নির্ধারণ করে দেওয়া হবে যাতে শুধু যোগ্য ও অভিজ্ঞ প্রার্থীই আবেদন করতে পারেন।

উপাচার্য প্রার্থীর অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে ন্যূনতম ১০ (দশ) বছর, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ প্রার্থীর ৭ বছর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং পিএইচডি ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আবেদনকারীর একাডেমিক নেতৃত্ব, গবেষণামূলক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণ, উপাচার্য প্রার্থীদের ১০টি, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য ৭টি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকাশনা এবং প্রশাসনিক দক্ষতা যাচাই করা হবে। উপাচার্য পদের জন্য অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিয়োগযোগ্য হবেন না। আবেদনকারীদের অবশ্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকতে হবে।

আরও পড়ুন স্বাস্থ্যখাতে ক্রয় পদ্ধতির দুর্নীতি অন্যতম বড় ব্যর্থতা!  স্বাস্থ্যখাতে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহির প্রকট অভাব: উপদেষ্টা 

সুপারিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন গঠিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের এই কার্যক্রম সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক পরিচালিত হবে। ইউজিসি নির্ধারিত যোগ্যতার ভিত্তিতে একটি সার্চ কমিটি গঠন করবে যারা আবেদনকারীদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা (শর্ট লিস্ট) প্রস্তুত করবে। এ তালিকা রাষ্ট্রপতির নিকট প্রেরণ করা হবে, যিনি সংবিধান অনুযায়ী একজন উপযুক্ত প্রার্থীকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রদান করবেন। শিক্ষকরা যদি শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্ষম থাকেন, তাহলে ৬৭ বছর পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে স্বচ্ছ, যোগ্যতাভিত্তিক ও দক্ষ নেতৃত্ব নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে; যা শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশাসনিক কাঠামোর সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রশাসনিক পদে নিয়োগ:

সুপারিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমের স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন করতে হবে। এ পদগুলোর জন্য প্রার্থীদের নির্দিষ্ট যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার মানদণ্ড উল্লেখ করে বিজ্ঞাপন প্রদান করা হবে।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও রেজিস্ট্রার পদগুলো শুধু পূর্ণকালীন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের জন্য নির্ধারিত। এ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে উল্লেখযোগ্য যে, কোনো শিক্ষককে এ প্রশাসনিক পদগুলোতে নিয়োগ দিলে শিক্ষা কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটবে। যথাযথ নিয়মে আবেদন সংগ্রহ করে একটি নির্বাচন বোর্ড গঠনের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করতে হবে। নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তির অবশ্যই প্রশাসন পরিচালনায় পূর্ব অভিজ্ঞতা, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকতে হবে। প্রতিটি পদে মেয়াদ সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৪ বছর নির্ধারিত থাকবে। মেয়াদ শেষে প্রয়োজন অনুযায়ী পুনঃনিয়োগ বা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।

একই ব্যক্তির একাধিক প্রশাসনিক পদে বহাল থাকার সংস্কৃতির বাইরে সরে এসে নেতৃত্ব এবং কাজের ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হবে। এ ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে যে, প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা একাগ্রভাবে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবেন এবং শিক্ষাদান কার্যক্রমে স্বার্থসংঘাত এড়ানো যাবে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন হবে আরও দক্ষ, স্বচ্ছ ও পেশাদার। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বপূর্ণ পদসমূহে নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতার ভিত্তিতে দায়িত্ব প্রদান নিশ্চিত করতে হবে এবং আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন আহ্বান করতে হবে এবং একাধিক প্রার্থীর মধ্যে যাচাই-বাছাই ও আলোচনার মাধ্যমে সর্বোত্তম প্রার্থীকে নিয়োগ প্রদান করতে হবে। প্রার্থীদের শিক্ষা ও গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বিভাগীয় চেয়ারম্যান নিয়োগের যোগ্যতা:

সুপারিশ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চেয়ারম্যান পদে নিয়োগের জন্য প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রি (যেমন পিএইচডি/এমডি/এমএস/এফসিপিএস থাকতে হবে এবং অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে স্বীকৃত জার্নালে প্রকাশিত কমপক্ষে ৫টি আন্তর্জাতিক গবেষণা থাকতে হবে।

প্রক্টর নিয়োগ:

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হতে হলে প্রার্থীকে একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক (সহযোগী অধ্যাপক বা অধ্যাপক), প্রশাসনিক অভিজ্ঞ, ন্যায়পরায়ণ, শৃঙ্খলা রক্ষায় দক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় আইন-বিধিতে পারদর্শী হতে হবে। ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে কোনো শৃঙ্খলাভঙ্গের ইতিহাস থাকা চলবে না।

ডিন পদে মনোনয়ন বা নিয়োগের যোগ্যতা:

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক বিভাগ বা ফ্যাকাল্টির সর্বোচ্চ নেতৃত্বের দায়িত্ব পালনকারী ডিন পদে নিয়োগের জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। এ পদে মনোনয়ন প্রাপ্তির জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট বিভাগে অধ্যাপক পদে ন্যূনতম ৫ বছরের শিক্ষা ও গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অন্তত ৭টি আন্তর্জাতিক জাতীয় জার্নালে গবেষণা প্রকাশনা থাকতে হবে। এছাড়া উচ্চমানের গবেষণা কার্যক্রম এবং শিক্ষাগত নেতৃত্বে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।প্রার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হতে হবে। ডিন হিসেবে তাকে বিভাগীয় উন্নয়ন, শিক্ষার্থী পরিচালনা ও প্রশাসনিক কাজের ওপর পূর্ণ দায়বদ্ধ থাকতে হবে। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক একাডেমিক নেটওয়ার্কিংয়ে সক্রিয় থাকতে হবে এবং সেগুলির মাধ্যমে বিভাগের উন্নয়ন ও গবেষণা কার্যক্রমকে সহায়তা করতে হবে।প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক বা শৃঙ্খলাবিষয়ক অভিযোগ না থাকতে হবে এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তি হতে হবে। প্রার্থীকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে নিরপেক্ষ হতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কর্মকাণ্ডে কোনো ধরনের রাজনৈতিক প্রভাবের মধ্যে পড়বে না।

সিন্ডিকেট সদস্য:

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর থেকে নিযোগপ্রাপ্ত সিন্ডিকেট সদস্য নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে দক্ষ, অভিজ্ঞ ও নৈতিক নেতৃত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সিন্ডিকেট সদস্য পদে মনোনয়নের জন্য নির্দিষ্ট ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এ পদে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য প্রার্থীকে অবশ্যই শিক্ষা ও গবেষণায় সক্রিয় থাকতে হবে এবং তার গবেষণা প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত থাকতে হবে। প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা যেমন ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, প্রক্টর, একাডেমিক কাউন্সিল সদস্য বা সমমানের পদে দায়িত্ব পালনকারী প্রার্থীদের অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে। এছাড়া প্রার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সক্রিয় অংশগ্রহণের পূর্বঅভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কোনো শাস্তিযোগ্য কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন না, এই মর্মে প্রমাণিত হতে হবে।

প্রার্থীকে অবশ্যই নিরপেক্ষ মানসিকতা সম্পন্ন ও প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে দায়বদ্ধ হতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ফ্যাকাল্টি/একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ ছাড়া কাউকে মনোনয়ন দেওয়া যাবে না। এই নীতিগত কাঠামো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে প্রজ্ঞাবান, অভিজ্ঞ ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব নিশ্চিত হবে।

স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় মিলে একটি সমন্বিত কাঠামো (ককাস) গঠন করা হবে যাতে এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক প্রয়োজনে, রাষ্ট্রীয় প্রয়োজন বা প্রশাসনিক কারণে বদলি করা সম্ভব হয়।

এসব বদলি নীতিমালা সব পদে (শিক্ষক, প্রশাসকসহ) প্রযোজ্য হবে। পুরো প্রক্রিয়া বাংলাদেশ হেলথ কমিশনের (বাংলাদেশ হেলথ কমিশন) মেডিকেল এডুকেশন বিভাগের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। তবে বাংলাদেশ হেলথ কমিশন গঠিত হওয়ার আগে পর্যন্ত এ কাজ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন পরিচালনা করবে।

এভাবে একটি স্বচ্ছ, প্রতিযোগিতামূলক ও যোগ্যতাভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামো আরও শক্তিশালী ও কার্যকর হবে। এতে করে যোগ্যতার ভিত্তিতে দায়িত্ব প্রদান নিশ্চিত হবে এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা পাবে বলে সুপারিশ প্রতিবেদনে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

এমইউ/এমএইচআর/জিকেএস