জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে রাজধানী ঢাকার চাঁনখারপুলে ৬ জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত আট জনের মধ্যে চার জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৯ টা ২৫ মিনিটের দিকে প্রিজন ভ্যান থেকে নামানো হয় তাদের। আজ তাদের বিরুদ্ধে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রসিকিউশন তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য দুই মাস সময়ের আবেদন করে। ট্রাইবুনাল ওই আবেদন মঞ্জুর করে ২২ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য রেখেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) শুনানিতে প্রসিকিউশন পক্ষ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য দুই মাস সময় চাইলে আদালত ২২ এপ্রিল নতুন দিন ধার্য করেন।
Advertisement
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। অপর দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম, বিএম সুলতান মাহমুদ, শহিদুল ইসলাম সরদার ও গাজী এমএইচ তামিম।
আরও পড়ুন:
সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদনশুনানি শেষে এক ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আদালত যে দুই মাসের সময় দিয়েছে তার অনেক আগেই আমাদের তদন্তের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি। পাশাপাশি যে তিন পুলিশকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল তার মধ্যে শাহবাগ থানার সাবেক ওসি (অপারেশন) আরশাদ হোসেন অসম্ভব রকমের এগ্রিসিভ একজন অফিসার ছিলেন। আন্দোলনের সময় ছাত্রদের মুখ চেপে ধরার যে ছবি সেটি তার ছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে সময় চাইলে, আদালত একদিন করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন৷
Advertisement
তিনি বলেন, অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত সংস্থা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর আরও তথ্য প্রমাণাদি পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রকৃত সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়নি প্রশাসনের চাপে। পাশাপাশি সে সময় তারা যে গুলি খেয়ে মারা গেছে সে বিষয়টিও ডেথ সার্টিফিকেটে লিখতে দেওয়া হয়নি। তাদের যে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট নেই এটিও একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ।
তিনি বলেন, আমরা যখন পঙ্গু হাসপাতালে গিয়েছিলাম আহতদের দেখতে তখন তারা আমাদেরকে জানিয়েছিল, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে প্রথম যখন হাসপাতালে ভিজিটে এসেছিল তখন তিনি বলে গিয়েছিলেন, নো ট্রিটমেন্ট নো রিলিজ। অর্থাৎ কোন চিকিৎসা হবে না এবং কাউকে রিলিজ করবেন না, যাতে কেউ বাইরে যেতে না পারে। তার এ নির্দেশনার কথা সেখানকার রোগী ও ডাক্তাররা আমাদের জানিয়েছেন।
এফএইচ/এসএনআর/জেআইএম