গত এক দশকে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ২৯৮ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছেন ১১৩ জন। এছাড়া গত এক বছরে (২০২৪) কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা-নির্যাতনে প্রাণহানি হয়েছে ৮২০ শ্রমিকের।
Advertisement
শ্রমবিষয়ক সংস্কার কমিশনের খসড়া প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) কমিশনের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে ৩৩টি বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ১৯৯০ এর সারাকা গার্মেন্টসে অগ্নিকাণ্ডে ৩২ জন নিহত হন। ২০০৬ সালে কেটিএস অগ্নিকাণ্ডে ৬২, ২০১২ এর তাজরীন ফ্যাশন অগ্নিকাণ্ডে ১২৪, ২০১৩ সালের রানা প্লাজা ভবন ধসে নিহত হন ১১৩৪ জন। এ ঘটনায় আহত আড়াই হাজারেরও বেশি শ্রমিক। ২০২১ এর হাসেম ফুডসের অগ্নিকাণ্ডে ৫৪ জন নিহত হন।
Advertisement
এদিকে তৈরি পোশাকশিল্পের ওপর পুরো বিশ্বের যে নজরদারি তা চট্টগ্রামের জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পখাতের ওপর নেই। ফলে দুর্ঘটনাপ্রবণ ঝুঁকিপূর্ণ জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে অঙ্গহানি থেকে ভগ্ন স্বাস্থ্য এমনকি মৃত্যু আড়ালে থেকে যায়।
গত ১০ বছরে এই শিল্পে দুর্ঘটনায় ১৪৭ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। কিন্তু ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। ডাচ বাংলা শিল্প খাতের কারণে সমুদ্র উপকূলের প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশ ও বাস্তব সংস্থানের ভীষণ ক্ষতি হয়ে চলছে।
কৃষক বা নির্মাণ শ্রমিকের কর্ম ক্ষেত্রে মৃত্যুও কোনো গুরুত্ব পায় না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ কৃষিখাতে কৃষক শ্রমিক থেকে ক্ষুদ্র মাঝারি কৃষক নানা ঋণ প্রকল্পে জর্জরিত। ক্ষুদ্র ঋণের দায় পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে।
Advertisement
এমইউ/জেডএইচ/