ক্যাম্পাস

জাকসু নির্বাচন নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা

জাকসু নির্বাচন নিয়ে ফের অনিশ্চয়তা

দীর্ঘ ৩২ বছর পর আলোর মুখ দেখার পথে হাঁটছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু)। এরইমধ্যে রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠন, খসড়া ভোটার তালিকা এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশও সম্পন্ন হয়েছে। তবে ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী গত ৩১ জানুয়ারি জাকসুর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার কথা থাকলেও হয়নি।

Advertisement

ছাত্রদলের জাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কারের দাবিতে পিছিয়ে যায় তফসিল ঘোষণা। পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে নতুন রোডম্যাপে এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে তফসিল ও মে মাসের ২১ তারিখের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত জাকসু হবে কিনা তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে তৈরি হয়েছে অনিশ্চিয়তা।

জাকসুর সংস্কার কেবল নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই করতে পারবেন— এমনটি বলা আছে গঠনতন্ত্রে। ১৭ ধারায় ‘গঠনতন্ত্র সংস্কার’-এ উল্লেখ আছে, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গঠনতন্ত্র সংস্কারের ব্যাপারে কমপক্ষে ১০ দিনের নোটিশ দিতে হবে। বিশেষ সাধারণ সভায় উপস্থিত সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশের অনুমোদনক্রমে সংস্কার প্রস্তাব গ্রহণ করা যাবে। এরকম সভায় সংসদের মোট সদস্যের এক-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতেই সভার জন্য কোরাম হবে।

অন্যদিকে, ১৯ ধারায় বলা আছে, এই গঠনতন্ত্রে উল্লেখ নেই এমন কোনো বিষয়ের সম্মুখীন হলে, সে বিষয়ে সভাপতি সিদ্ধান্ত নেবেন এবং তার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। তবে সংস্কারে কতটুকু উপাচার্য তার নিজ ক্ষমতাবলে করতে পারবেন তা জানানো হয়নি শিক্ষার্থীদের।

Advertisement

এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে জাগো নিউজ। তারা বলছেন, বিদ্যমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেবল পদের সংখ্যা উপাচার্য বাড়াতে পারবেন। তাই নতুন কমিটির কাজ হবে কেবল কতগুলো পদ বাড়ানো যাবে তা নিয়ে। এর বাইরে কোনো সংস্কারের সুযোগ নেই এই সংস্কার কমিটির। সুষ্ঠু, সুন্দর পরিবেশে জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক, এটাই তারা আমরা চান।

জাকসুর জন্য গঠিত পরিবেশ পরিষদের সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জাকসু নির্বাচনকেন্দ্রিক বেশকিছু বিষয়ে কথা বলেছে। বিশেষ করে নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা নিয়ে কথা হয়েছে। হল থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বের করা নিয়ে কথা হয়েছে। বর্তমানে যে গঠনতন্ত্র রয়েছে তার সংস্কারের বিষয়েও কথা হয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা নতুন কিছু পদ সৃষ্টির বিষয়ে বলেছে।’

এ বিষয়ে জাকসুর সভাপতি ও উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ‘গঠনতন্ত্র সংস্কারের ক্ষমতায় বলা আছে নির্বাচিত প্রতিনিধি লাগবে। তবে জাকসু যেহেতু ভেঙে দেওয়া হয়েছে, জাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধি এখন আর নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য শিক্ষার্থীরা সংস্কার দাবি করেছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ফোরামে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কমিটি হয়েছে। এখানে এখতিয়ারের মধ্যে ন্যূনতম সংস্কার করা হবে।’

Advertisement

নতুন ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে তফসিল ও মে মাসের ২১ তারিখের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

সৈকত ইসলাম/এসআর/জিকেএস