ক্যাম্পাস

আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ ২১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আওয়ামীপন্থি শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ ২১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগপন্থি শিক্ষক ও কর্মকর্তাসহ ১৩০ জনের নামে মামলা হয়েছে। মামলায় আরও ৭০-৮০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।

Advertisement

সোমবার (৫ মে) দুপুরে মামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্রুত বিচার) আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আজমত আলী।

তিনি বলেন, রোববার (৪ মে) আশিকুর রহমান নামের একজন বাদী হয়ে আদালতে মামলার আবেদন করেন। বিচারক মোছা. নাসিমা খাতুন মামলাটি আমলে নিয়ে ময়মনসিংহের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী আশিকুর রহমান একই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।

Advertisement

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি ও সহকারী রেজিস্ট্রার জাকিবুল হাসান রনি, বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও উপপরিচালক মাহমুদুল আহসান লিমন, প্রকৌশল শাখার প্রকল্প পরিচালক (পিডি) জোবায়ের হোসেন, অতিরিক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুল হালিম, সহকারী রেজিস্ট্রার ইব্রাহিম কবির শান্ত, সহকারী রেজিস্ট্রার এনায়েত কবির আরিফ, উপ রেজিস্ট্রার রেবেকা সুলতানা, সংগীত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোশাররত শবনম, সহকারী অধ্যাপক হীরক মুশফিক, সহকারী অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সেলিম আল মামুন, অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার মুখার্জী, সহযোগী অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক নাহিদুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক রেজুয়ান আহমেদ, মাসুদ রানা, অধ্যাপক ড. মোল্লা আমিনুল, ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. তরিকুল ইসলাম, চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মাসুম হাওলাদার, নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জুয়েল মোল্লা, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম রানা, সাবেক সভাপতি সাব্বির আহমেদ, সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক সভাপতি আল মাহমুদ কায়েস, সহ সভাপতি জয় চক্রবর্তী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজিব চন্দ্র দাস, আরাফাত রহমান সানি, সহ-সাধারণ সম্পাদক রিয়েল সরকার, বঙ্গবন্ধু পরিষদের উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, কোটাবিরোধী আন্দোলন দমনে গত বছরের ৩ আগস্ট ‘হাসিনায় আস্থা’ ব্যানারে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-সমাবেশ করে ছাত্রলীগ ও আওয়ামীপন্থি শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। ওই সমাবেশে তারা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে ক্যাম্পাসে সশস্ত্র মহড়া দেন। এর পরদিন ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ছাত্রলীগ। এতে কমপক্ষে ১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।

এসময় আসামিরা বেশ কিছু মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস ভাঙচুর করেন। এ ঘটনার জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে দেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে মামলা করা হয়েছে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী আশিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের কবল থেকে দেশ মুক্ত হয়েছে। বর্তমানে আইন সবার জন্য সমান। তাই প্রায় ৯ মাস পর দেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ন্যায়বিচার পেতে মামলা করেছি। আশা করছি, আদালত ন্যায়বিচার করবেন।

Advertisement

কামরুজ্জামান মিন্টু/এসআর/এমএস