বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে সেই ২০০০ সালে। কিন্তু টেস্ট আঙিনায় ২৫ বছর চললেও বলার মতো উন্নতি হয়নি। এখনও টেস্টে বড় দলগুলোকে কালেভদ্রে হারায় বাংলাদেশ। গত কয়েক বছরে কিছুটা উন্নতি হলেও সেটা পর্যাপ্ত নয়।
Advertisement
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও সেটা মেনে নিচ্ছেন। এত বছর টেস্ট খেলার পর টেস্ট সংস্কৃতি নিয়ে কথা বলতে হয়, ব্যাপারটাকে দুঃখজনক মনে করছেন তিনি।
আগামীকাল (রোববার) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু সিলেটে। তার আগে বাংলাদেশ অধিানয়কের কণ্ঠ থেকে ভেসে এলো আক্ষেপ, ‘এত বছর টেস্ট খেলার পরে যখন টেস্ট সংস্কৃতি নিয়ে আমাদের কথা বলতে হয়, এটা অবশ্যই দুঃখজনক। তবে আমার মনে হয়, যদি গত বছর থেকে শুরু করি, আমরা চারটা ম্যাচ জিতলাম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ১২টি টেস্টের মধ্যে। চারটি ম্যাচই বড় দলের বিপক্ষে।’
গত বছর পাকিস্তানের মাটিতে দুটি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে একটি এবং ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একটি টেস্ট জিতেছে বাংলাদেশ।
Advertisement
শান্ত মনে করেন, নতুন শুরুর একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তার কথা, ‘গত বছর থেকেই কীভাবে টেস্ট দলটায় একটা সংস্কৃতি তৈরি করতে পারি বা আমরা কীভাবে খেলাটা খেলতে চাই এই বিষয়গুলো নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছিল। নতুন কোচ আসার পরে তার একটা পরিকল্পনা আছে, সে আসলে কীভাবে দলটাকে সামনের দিকে নিয়ে যেতে চায়, যেগুলো এরই মধ্যে ক্রিকেটারদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি আমরা যারা খেলছি, আমাদের একটা ইনপুট তো ছিলই। আমি আশা করব এ বছর যে পাঁচ-ছয়টা টেস্ট ম্যাচ আছে, নতুন কিছু আপনারা দেখতে পাবেন ইনশা আল্লাহ।’
নতুন শুরুটা কেমন হবে? শান্তর উত্তর, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমি যেটা চিন্তা করি যে আমরা প্রত্যেকটা ম্যাচ যেন জেতার জন্য খেলি। এখানে কোনো স্বার্থবাদী ক্রিকেট খেলার ইচ্ছা আমাদের কারও নেই। আমি যেটা একটু আগেও বললাম যে নতুন কিছু আমরা চেষ্টা করব এবং এটাও শুরু হবে আগামীকাল থেকে।’
বাংলাদেশ দলে পরিবর্তনটা দরকার বলেই মনে করেন শান্ত। তার ভাষায়, ‘আমি বিশ্বাস করি, যেহেতু আমাদের গত ২০-২২ বছরে টেস্ট ক্রিকেট একই রকম ছিল, খুব বেশি উন্নতি হয়নি। তাই এই জায়গাটাতে নিশ্চয়ই আমাদের কিছু পরিবর্তনের দরকার আছে। ওই পরিবর্তনটাই করার চিন্তা করছি। আমি আশা করব যে এই পরিবর্তন আমাদের টেস্ট ক্রিকেটে কাজে লাগবে।’
এমএমআর/জেআইএম
Advertisement