আইন-আদালত

বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রশংসা ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের

বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রশংসা ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের

ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান বাংলাদেশের জনগণ ও বিচার বিভাগের প্রশংসা করেছেন। বুধবার (৭ মে) সুপ্রিম কোর্টে পরিদর্শনে এসে রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান এ প্রশংসা করেন।

Advertisement

প্রথমে তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে যান। এরপর হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে যান।

সেখানে অ্যাটর্নি জেনারেল ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতকে আদালতের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। আদালত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান।

তখন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে বিচার বিভাগে চলমান সংস্কারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং সংস্কার কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান।

Advertisement

এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, তিনি (রাষ্ট্রদূত) এসেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করতে। এটি ছিল তার রাষ্ট্রের নাগরিকের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট সফর। তিনি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে আইনি সহযোগিতা চেয়েছেন। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা সর্বোচ্চ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

এদিন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কোর্টের মূল বিল্ডিং, অ্যানেক্স ভবন ঘুরে বিজয় ৭১ ভবনে যান। সেখানে বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলাটি শুনানির জন্য ছিল। পিটিশনার পক্ষে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শিশির মনির ছিলেন।

এ সময় ডায়াসে দাঁড়িয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কিছু সময় সাবমিশন রাখেন। রাষ্ট্রদূত কোর্টে বসে তো শোনন। মামলায় সময় নিবেদন করে অ্যাটর্নি জেনারেল শেষ করেন। রাষ্ট্রদূতকে শুরুতেই কোর্টে পরিচয় করিয়ে দেন। কোর্ট তখন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানালে তিনি ডায়াসে গিয়ে দাঁড়ান। সেখানে তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রশংসা করেন, বিচার বিভাগীয় সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন জানান।

শুনানিতে রাষ্ট্রদূত ন্যায়বিচার নিশ্চিতে উপযুক্ত বিচারব্যবস্থার প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন। এরপর কোর্ট থেকে বের হয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে যান এবং সেখান থেকে বিদায় নেন।

Advertisement

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. আসাদ উদ্দিন আরও বলেন, মজলুম ফিলিস্তিনিদের পাশে আমরা বাংলাদেশিরা সবসময় ছিলাম, আছি, থাকবো। আমাদের কান্নার অশ্রুতে ডুবে যাক জালিমের সিংহাসন, ভেসে যাক রক্তপিপাসু ইসরায়েলি সব মারণাস্ত্র। মুক্তি পাক নারী, শিশুসহ অসহায় মানুষগুলো।

এফএইচ/ইএ