দেশজুড়ে

তিন দফা দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

তিন দফা দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

সংস্কার, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ তিন দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। দাবি না মানলে তারা পূর্ণাঙ্গভাবে চিকিৎসাসেবা থেকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

Advertisement

শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে হাসপাতালের আউটডোরের সামনে মানববন্ধন ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন চিকিৎসকরা।

বক্তারা বলেন, ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল শিক্ষার্থী ও রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। দাবি আদায় না হলে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল শাটডাউনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতাল ক্যাম্পাসে চিকিৎসক, নার্স, সংশ্লিষ্ট কর্মচারী, মেডিকেল শিক্ষার্থী এবং রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তদন্ত চলাকালে অযৌক্তিকভাবে ওএসডি করা ডা. শামিম আল আজাদকে পুনর্বহাল করা এবং ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল চালু ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়াসহ তিন দফা দাবি তুলে ধরেন তারা।

Advertisement

তারা বলেন, বর্তমানে ২৫০ শয্যার হাসপাতালে প্রতিদিন ৬০০’র বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। অথচ সেখানে কর্মরত চিকিৎসক মাত্র ২০ জন। যেখানে প্রয়োজন প্রায় ১৮০ জন। এমন পরিস্থিতিতে ডা. শামিম আল আজাদকে ওএসডি করায় চিকিৎসা সেবায় আরও সংকট তৈরি হয়েছে।

ইন্টার্ন ডক্টরস সোসাইটির সভাপতি ডা. মো. সবুর হোসেন বলেন, আমরা কাউকে প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখি না। আমরা চাই পটুয়াখালীতে আধুনিক ও সুশৃঙ্খল স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হোক। কোনো রোগী সুস্থ হয়ে ফিরলে আমরা যেমন খুশি হই, তেমনি একটি উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়তেও আমরা প্রস্তুত।

এর আগে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারের (এসপি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হাসপাতাল, ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। তবে আলোচনায় আশ্বাস পেলেও তা বাস্তবায়ন না হলে পরে আরও কঠোর কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারি দেন চিকিৎসকরা।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দাবিগুলো যৌক্তিক। আমরা সরকারের কর্মচারী, রোগীদের ভোগান্তি হয় এমন কর্মসূচি না করার জন্য অনুরোধ করছি। আশা করছি দ্রুত বিষয়টি সমাধান হবে।

Advertisement

আব্দুস সালাম আরিফ/আরএইচ/এমএস