বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার মামলায় আসামি গ্রেফতারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে- ডিএমপির এমন সিদ্ধান্ত (অফিস আদেশ) স্থগিত করে দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর আপিল শুনানির জন্য ১৯ মে দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
Advertisement
বুধবার (৭ মে) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে চেম্বার জজ মো. রেজাউল হক স্থগিতের আবেদনটিতে ‘নো অর্ডার’ আদেশ দিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ শুনানি করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি গ্রেফতারের আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে- ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) এমন আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেদিন হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন।
Advertisement
হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ গত সপ্তাহে আপিল বিভাগে আবেদন করে। আবেদনটি আজ আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতের শুনানির জন্য ছিল।
এর আগে গত ৯ এপ্রিল ঢাকা মহানগর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনায় করা মামলায় আসামি গ্রেফতার প্রসঙ্গে অফিস আদেশ জারি করা হয়। এর বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন গত ২০ এপ্রিল রিটটি করেন। গত ২৩ এপ্রিল শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়ে ওই অফিস আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করেন। রুলে ৯ এপ্রিলের সিদ্ধান্ত (অফিস আদেশ) কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের সদর দপ্তর থেকে কমিশনারের পক্ষে ৯ এপ্রিল ‘অফিস আদেশ’ জারি করেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন।
অফিস আদেশের ভাষ্য, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংক্রান্ত মামলায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা অধিক। এসব মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণসহ অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্রেফতার করতে হবে। উপযুক্ত প্রমাণ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনার মামলার এজাহারভুক্ত কিংবা তদন্তে প্রাপ্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার না করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
Advertisement
এফএইচ/ইএ