দক্ষিণাঞ্চলে আমন ধান কাটার পর বিস্তীর্ণ জমি পড়ে থাকে। মাটি ও পানিতে লবণ থাকায় সহজে অন্য কোনো ফসল ফলানো কঠিন। তবে বর্তমানে এসব জমিতে বিনা চাষে ডিব্লিং পদ্ধতিতে সূর্যমুখী চাষে সফলতা এসেছে। নতুন এই প্রযুক্তি সমগ্র দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উপকেন্দ্র সাতক্ষীরা।
Advertisement
বিনার গবেষণা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে লবণাক্ত অঞ্চলে রোপা আমনের পর বিনা চাষে সূর্যমুখী চাষ বিষয়ক মাঠ মূল্যায়ন প্রচারণা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ এপ্রিল বিকেলে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহস ইউনিয়নে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএআরসির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হারুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম।
আরও পড়ুন
Advertisement
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিনার প্রশাসন ও সাপোর্ট সার্ভিস বিভাগের পরিচালক ড. মো. আজিজুল হক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, পিসিইউ-বিএআরসি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ড. মো. আশরাফুল আলম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জামাল উদ্দিন, খুলনা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম, বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার ইনচার্জ ড. শিল্পী দাস ও ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইনসাদ ইবনে আমিন।
এ সময় কর্মকর্তারা কৃষকদের রোপা আমনের পর বিনা চাষে সূর্যমুখীর চাষ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে জানান, এখানে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি আমন ধান কর্তনের পর ভেজা মাটিতে সূর্যমুখীর বীজ ডিব্লিং পদ্ধতিতে বপন করা হয়েছে। এরপর চারা গাছের গোড়া বেঁধে সার প্রয়োগ করা হয়েছে। গবেষণায় তিনটি জাত ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয়, বারি সূর্যমুখী-২ এবং হাইসান-৩৩ জাতের সবকটিতেই ফল এসেছে। এগুলোর মধ্যে হাইসান-৩৩ জাতের ফলন ভালো হয়েছে।
বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম বলেন, ‘সূর্যমুখী একটি লবণসহিষ্ণু ফসল। ফলে খুলনা, সাতক্ষীরাসহ লবণাক্ত এলাকার জমিতে সূর্যমুখী চাষের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা সূর্যমুখী চাষাবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করতে গবেষণার মাধ্যমে কৃষি বিভাগকে সহযোগিতা করছি।’
আহসানুর রহমান রাজীব/এসইউ/এমএস
Advertisement