উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার হলে পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় আরাভ খান ও তার স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া খালাস পাবেন বলে মন্তব্য করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমিন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেনের (গালিব) রায়ে আরাভ-কেয়াসহ আট আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
মো. রুহুল আমিন বলেন, এ মামলার বিচার চলাকালে অভিযোগপত্রভুক্ত ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত। আমি প্রতিটি সাক্ষীকে জেরা করেছি। জেরার মাধ্যমে আদালতে প্রমাণ করেছি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরাভ খান ও কেয়া জড়িত ছিলেন না। তবুও আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। তারা যদি দেশে ফিরে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে উচ্চ আদালতে আপিল করেন এবং উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার হয়, তাহলে তারা দুজনই খালাস পাবেন।
রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্ট নাকি উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আমরা এখনই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করছি না। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
Advertisement
আরও পড়ুন
পুলিশ পরিদর্শক হত্যা: আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবনআরাভ খান আটকের বিষয়ে যা বললেন আইজিপিআরাভ খান ছাড়া এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আরাভ খানের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া, রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, মিজান শেখ, আতিক হাসান, সারোয়ার হাসান ও দিদার পাঠান। এদের মধ্যে আরাভ ও কেয়া পলাতক। এছাড়া বাকি ছয় আসামিকে রায় ঘোষণার আগে আদালতে আনা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া মামলার আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই কিশোরী জামিনে। শিশু আদালতে তাদের বিচার চলছে।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের জন্য ৫ মার্চ দিন ধার্য করেন। তবে, সেদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ১৮ মার্চ করা হয়। সেদিনও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ৯ এপ্রিল রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। ওইদিনও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ১৭ এপ্রিল রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন বিচারক। মামলাটির বিচার চলাকালে মোট ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন সাক্ষ্য দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৯ জুলাই গাজীপুরের জঙ্গল থেকে পুলিশ পরিদর্শক মামুন ইমরান খানের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় মামুনের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত।
Advertisement
এমআইএন/এএমএ/জিকেএস