জাতীয়

তফসিলের আগে নতুন-পুরোনো সব দলের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি

তফসিলের আগে নতুন-পুরোনো সব দলের সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি

নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন কাজ শেষ করে নতুন-পুরোনো সব দলকে নিয়ে সংলাপে বসতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (১৬ এপ্রিল) সংলাপ, খসড়া রোডম্যাপ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান। অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত ডিসেম্বরে ভোটগ্রহণ সামনে রেখে ইসির সব ধরনের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার।

Advertisement

এরই মধ্যে ডিসেম্বরের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পথে প্রাক-প্রস্তুতিমূলক সব ধরনের কাজ গুছিয়ে জুলাইয়ে কর্মপরিকল্পনার মুদ্রিত কপি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে চায় ইসি। ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আরপিও-আচরণবিধি, নীতিমালাসহ আইন সংস্কার, সীমানা নির্ধারণ, নতুন দলের নিবন্ধনসহ সার্বিক কাজ শেষ করে তফসিলের আগে মতবিনিময় করতে চায় সাংবিধানিক সংস্থাটি। দলের সঙ্গে সংলাপের পরিকল্পনা আগস্ট-সেপ্টেম্বরে।

ভোটের পথে ইসির কাজগুলোকে ‘রোডম্যাপ’ না বলে কর্মপরিকল্পনা (অ্যাকশন প্ল্যান/ওয়ার্ক প্ল্যান) হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।

ইসি আনোয়ারুল ইসলামের ভাষ্য, আনুষ্ঠানিকভাবে রোডম্যাপের যে বিষয়টি, যে কর্মপরিকল্পনা আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একটা নিজস্ব কর্মপরিকল্পনা ধরেই এগোচ্ছি। সে কর্মপরিকল্পনার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রাথমিক পর্যায়ে আসনের প্রশাসনিক বিন্যাসের তথ্য, ভোটার তালিকার তথ্য সংগ্রহ ও শেষ পর্যায়ে গুছিয়ে এনেছি, নিবন্ধনের কাজও একটা পর্যায়ে আসছে। আইনের সংশোধনী পেলে মাস তিনেকের মধ্যে শেষ করতে পারবো আশা করি।

Advertisement

সরকার ঘোষিত ডিসেম্বরের টাইমলাইন সামনে রেখে এগোচ্ছেন বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, এখন পর্যন্ত তিনটি নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে। তবে তারা সময় বাড়ানোর জন্য বলেছে। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন পেতে আগ্রহী দলগুলোর আবেদন নেওয়া হবে।

সময় বাড়ানোর এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি এ বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান তিনি।

শিডিউল ঘোষণার পূর্বে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বসতে হবে। নতুন দল শর্তপূরণ করে আসার পর, নতুন যারা হবে এবং পুরোনো যারা আছে তাদের নিয়েই আমরা বসবো। নিবন্ধনের কাজ শেষ না করি, তাহলে নতুনদেরতো কষ্ট থাকবে আমরা আসতে পারলাম না।

Advertisement

দল নিবন্ধন শেষ করে আগস্ট-সেপ্টেম্বর বা সম্ভব হলে আরও আগে মতবিনিময় হবে বলে জানান এ নির্বাচন কমিশনার। বর্তমান যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি আরও হবে বলে আশা রাখেন তিনি।

মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, বাস্তবেও আমরা রমজান মাসে যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বা অতীতের তুলনায় একটা তুলনামূলক পর্যালোচনা করি তাহলে আমি মনে করি ধারাবাহিকভাবে তা ইম্প্রুভ হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে গিয়েছি, তারা বলেছে যে রমজান মাসে আমাদের যে পারফরম্যান্স এটি আমরা আরও ইমপ্রুভমেন্ট করার চেষ্টা করছি। এবং এটি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে আমরা নির্বাচন করতে কোনো বাধা মনে করি না।

আগামী ছয়-আট মাসে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলে আশা করেন তিনি।

এমওএস/এমআইএইচএস/জিকেএস