চট্টগ্রামের ডিসি হিলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুর ও হামলার দায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনোমতেই এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা শাখার নেতারা।
Advertisement
সোমবার (১৪ এপ্রিল) নগরীর সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এ মন্তব্য করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট চট্টগ্রাম জেলা শাখার সমন্বয়ক ও বাসদ চট্টগ্রাম জেলা ইনচার্জ আল কাদেরী জয়। বক্তব্য রাখেন সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক নূরচ্ছফা ভূইয়া, বাসদ (মার্ক্সবাদী) চট্টগ্রাম জেলা শাখার সমন্বয়ক শফিউদ্দিন কবির আবিদ প্রমুখ। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিবি চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরসহ বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাসদ চট্টগ্রাম জেলার সদস্য মিরাজ উদ্দিন।
আরও পড়ুনচট্টগ্রামের ডিসি হিলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুর, আটক ৬ মিরসরাইয়ে ঐতিহ্যবাহী বলীখেলা, অর্ধলাখ দর্শকের সমাগমবক্তারা বলেন, বর্ষবরণের আগের দিন রাতে ডিসি হিলে মঞ্চ ভাঙচুর ও হামলা পূর্ব পরিকল্পিত এবং প্রশাসন এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ঘটনাকল্পে কোনো বিশেষ গোষ্ঠী প্রশাসনের সহায়তায় এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে কি না তা দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনা দরকার। অথচ প্রশাসন তা না করে এবং যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা না নিয়ে ডিসি হিলের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান স্থগিত করার পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যা নিন্দনীয় এবং দুরভিসন্ধিমূলক।
Advertisement
তারা বলেন, সমাজে অন্যায় দুষ্কৃতকারীদের প্রশ্রয় দিয়ে দেশের প্রগতিশীল,গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক শক্তির ওপর আঘাত হানার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশে মব ভায়োলেন্স, নারী অবমাননা, ম্যুরাল ও ভাস্কর্য ভাঙচুর, মাজারে হামলার ঘটনার কোনো বিচারই না হওয়ায় এমন হামলা করে অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। আড়ালে থেকে যাচ্ছে উসকানিদাতারা। উপরন্তু বর্ষবরণে মঙ্গল শোভাযাত্রার মতো ঐতিহ্য ও সংগ্রামের ইতিহাসের নাম পাল্টানো, চারুকলায় মোটিফ ভাঙচুরের ঘটনায় আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি, সমৃদ্ধ লোক ঐতিহ্য এবং জাতিগত অস্তিত্বের জন্য এক অশনিসংকেত। তাই ডিসি হিলের এই ঘটনার প্রকৃত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।
সমাবেশ থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিসি হিলে হামলা ও ভাঙচুরে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
এমডিআইএইচ/কেএসআর
Advertisement