অনেকের ধারণা সীমিত ওভারের ক্রিকেটটা ব্যাটারদের খেলা। কারণ ৫০ ও ২০ ওভারের খেলা মানেই চার-ছক্কার ফুলঝুরি। রানের নহর বয়ে যাওয়া। বিগ স্কোরিং গেম। কিন্তু আসলেই কি তাই? সীমিত ওভারের ক্রিকেট কি শুধুই ব্যাটারদের রাজ করার জন্য? এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগেই আছে ঐ মহামূল্যবান প্রশ্নের জবাব।
Advertisement
এবারের ঢাকা লিগে প্রমাণ হয়েছে, আসল নিয়ামক ভূমিকাটা বোলাররাই পালন করেন। আর তাইতো এবারের লিগে উইকেট শিকারে সবার ওপরে মোহামেডান ও আবাহনীর ৩ বোলার। বলার অপেক্ষা রাখে না, ১১ ম্যাচে সমান ৯টি করে ম্যাচ জিতে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে যৌথভাব শীর্ষে মোহামেডান আর আবাহনী। তবে হেড টু হেডে এক নম্বরে মোহামেডান। ওই ২ দলের কোনো ব্যাটার রান তোলায় প্রথম দুইজনে নেই। কিন্তু উইকেট শিকারে সবার ওপরে মোহামেডান আর আবাহনীর দুই বোলার রাকিবুল হাসান ও তাইজুল ইসলাম। দুজনই সমান ২৩ উইকেট করে শিকার করেছেন। তবে রাকিবুল গড় (১৫.৪৮) ও ইকোনমি (৪.০৭) দিয়ে তাইজুলের (গড় ১৮.১৭ ও ইকোনমি ৪.১৭) ওপরে। সমান ২০টি করে উইকেট পেয়ে এর পরপরই আছেন আবাহনীর অফস্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের তরুণ পেসার আসাদুজ্জামান পায়েল। তবে সেই গড় (১৭.০০) ও ইকোনমিতে (৪.৫৩) শরিফুল বাকি দুজনের চেয়ে এগিয়ে। এরপরের জায়গাটিতেও অবস্থান করছেন ৩ স্পিনার আরিফ আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ আর সানজামুল ইসলাম নয়ন। অগ্রণী ব্যাংকের বাঁহাতি স্পিনার আরিফ আহমেদ, মোহামেডান অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ আর ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম প্রত্যেকের উইকেট সংখ্যা ১৭।
গুলশানের স্পিনার নিহাদউজ্জামান আর প্রাইম ব্যাংক পেসার হাসান মাহমুদ ও অগ্রণী ব্যাংকের পেসার রবিউল হক যৌথভাবে ১৬ উইকেট শিকার করে আছেন উইকেট প্রাপ্তিতে যৌথভাবে নবম স্থানে।
উইকেট প্রাপ্তিতে সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছেন গাজী গ্রুপের তরুণ পেসার আবুল হাশিম, প্রাইম ব্যাংকের অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি, রূপগঞ্জ টাইগার্সের আরেক অভিজ্ঞ অফস্পিনার মাহমুদুল হাসান লিমন এবং ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের অভিজ্ঞ পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। প্রত্যেকের উইকেট সংখ্যা সমান ১৫টি।
Advertisement
এআরবি/এমএমআর/এমএস