দেশজুড়ে

আতঙ্কের নাম ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক

আতঙ্কের নাম ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক

সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের চলন্ত বাসে বাড়ছে ছিনতাইকারীদের উপদ্রব। যাত্রীবেশে বাসে উঠে সর্বস্ব কেড়ে সটকে পড়ছেন তারা। গত তিন মাসে এমন ছয়টি ঘটনা ঘটায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এ পথের যাত্রীরা। পুলিশের দাবি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাড়তি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ব্যাংক টাউন ব্রিজের ওপর সাভার পরিবহনের একটি বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীরা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে দ্রুত বাস থেকে নেমে পালিয়ে যান। আধাঘণ্টার ব্যবধানে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাভারের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যাত্রীবেশে থাকা ডাকাতরা ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের কাছে থাকা মূল্যবান মালামাল লুটে নেন।

এর আগে ৪ এপ্রিল বিকেলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ব্যাংক টাউন ব্রিজ এলাকায় ইতিহাস পরিবহনের একটি বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। চন্দ্রা থেকে ঢাকাগামী বাসটি ব্যাংক টাউন ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে তিন ছিনতাইকারী যাত্রী সেজে বাসে ওঠেন। এরপর তারা ছুরি বের করে যাত্রীদের চুপ থাকতে বলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন লুট করে নেন।

আরও পড়ুন:

Advertisement

সাভারে অস্ত্র ঠেকিয়ে চলন্ত দুই বাসে স্বর্ণালংকার ছিনতাইসাভারে যাত্রীবাহী বাসে ছিনতাইসাভারে চলন্ত বাসে ফের ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল লুটপাট

তার আগে ২৪ মার্চ রাত সাড়ে ৭টার দিকে সাভারের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আরিচাগামী শুভযাত্রা পরিবহনের একটি বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এসময় ছিনতাইকারীরা যাত্রীদের চাকুসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে পালিয়ে যান।

তার কিছুদিন আগে গত ২ মার্চ দুপুরে দিকে সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে রাজধানী পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে। ১৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সাভারের পুলিশ টাউন এলাকার সেতুর কাছে মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা শুভযাত্রা পরিবহনের একটি বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।

গত তিন মাসে একই মহাসড়কে বারবার ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাধারণ মানুষের কাছে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক এখন এক আতঙ্কের নাম। খুব বেশি জরুরি না হলে এই সড়কে চলাচল না করাই ভালো বলে মনে করছেন সবাই।

এ পথের নিয়মিত যাত্রী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘প্রায় প্রতিদিন সড়কটি ব্যবহার করি আতঙ্ক নিয়ে। মাঝে মাঝে সড়কে পুলিশের গাড়ি থামানো দেখা যায়। তাদের কোনো তৎপরতা নেই। এতে আরও সাহস পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা।’

Advertisement

সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, মহাসড়কের ছিনতাই বন্ধে এই সড়কে দুটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে, যা দিনের বেলায় ও সারারাত চলমান থাকে। বর্তমানে আমাদের ফোর্স সংকট রয়েছে। ফোর্স দেওয়ার কথা রয়েছে। ফোর্স এলে আমাদের চেকপোস্ট আরও বাড়বে।

এসআর/জেআইএম