খেলাধুলা

প্রাইম ব্যাংককে বিদায় করে আরও ওপরে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব

প্রাইম ব্যাংককে বিদায় করে আরও ওপরে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব

আগের খেলায় শাইনপুকুরের বিপক্ষে প্রশ্নবিদ্ধ জয়। তাতে সুপার লিগ নিশ্চিত হলেও বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিল এবারের লিগের প্রথম দিন মোহামেডানকে হারিয়ে চমক দেখানো গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। কিন্তু আজ ১২ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংকের সাথে প্রথম লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে সেই সব বিতর্ক ও প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থা থেকে বেরিয়ে এক চমক জাগানো জয় পেলো দলটি।

Advertisement

শাইনপুকুরের শেষ ২ ব্যাটার রহিম আহমেদ আর মিনহাজুল আবেদিন সাব্বিরের আউটের ধরন বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। দেখে মনে হচ্ছিল যেন তারা ইচ্ছে করেই আউট হয়ে গেলেন। সামনের পায়ে বলের ফ্লাইট মিস করে ফেরার পর্যাপ্ত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেউ ক্রিজে ফেরার বা পা রাখার চেষ্টা করেননি। আর তাতেই সন্দেহের বীজ জন্ম নেয়।

গুলশানের ৫ রানের জয়ে লাগে কালো দাগ। অনেকেই সে জয়কে সন্দেহের চোখে দেখতে থাকেন। যদিও কেউ কেউ আসল ঘটনা ছাপিয়ে আবার স্পট ফিক্সিংয়ের গন্ধ খুঁজে বেরিয়েছেন।

আসল ঘটনা কী, তা এখনো অজানা। বিসিবির দুর্নীতি দমন সংস্থা তদন্ত করছে। মোদ্দা কথা, শাইনপুকুরের সাথে শেষ ম্যাচের শেষাংশের দৃশ্যপট গুলশানের এবারের লিগের চমক জাগোনো পারফরম্যান্স ও অর্জনকে রীতিমত প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।

Advertisement

তবে আজ শনিবার বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে গুলশান বড় চমক দেখিয়েছে। অধিনায়ক আজিজুল হাকিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ভর করে শক্তি-সামর্থ্যে অনেকদূর এগিয়ে থাকা প্রাইম ব্যাংককে হারিয়ে দিয়েছে তারা।

প্রাইম ব্যাংকের হয়েছে সর্বনাশ। আজ শনিবারের হারেই কপাল পুড়েছে নাইম শেখ, সাব্বির হোসেন, জাকির হাসান, শাহাদাত দিপু, শামীম পাটোয়ারী, ইরফান শুক্কুরদের।

এ ম্যাচ জিতলে প্রাইম ব্যাংকের পয়েন্ট দাঁড়াতো ১১ খেলায় ১২। তখন তাদের আগামীকাল অগ্রণী ব্যাংকের শেষ ম্যাচের ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হতো।

রোববার লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সাথে শেষ ম্যাচ অগ্রণী ব্যাংকের। অগ্রণী ব্যাংক হারলে প্রাইম ব্যাংকের সাথে পয়েন্ট সমান হয়ে যেতো। যেহেতু রবিন লিগে অগ্রণী ব্যাংককে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক, তাই হে টু হেডে অগ্রণী ব্যাংককে পেছনে ফেলে সুপার লিগে চলে যেত ইরফান শুক্কুরের দল। সেটি আর হলো না। বিদায় হয়ে গেলো প্রাইম ব্যাংকের।

Advertisement

লিগের শেষ ম্যাচে এসে গুলশানের পেসার মেহেদী হাসান, আসাদুজ্জামান পায়েল আর ৩ স্পিনার নাইম ইসলাম, নিহাদউজ্জামান ও ইলিয়াস সানির সাঁড়াশি বোলিংয়ের মুখ ব্যর্থ প্রাইম ব্যাংকের নামী ব্যাটার নাইম শেখ, সাব্বির হোসেন, শাহাদাত দিপু, শামীম পাটোয়ারী ও ইরফান শুক্কুর।

ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মাত্র ২০৩ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। ওই পুঁজি নিয়ে লড়াই করা সম্ভব হয়নি। দুই ওপেনার অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম আর জাওয়াদ আবরার (৩৩) প্রথম উইকেটে ১৫.২ ওভারে ৭১ রান তুলে গুলশানকে মজবুত ভিত গড়ে দেন।

অধিনায়ক আজিজুল তামিম আরও অনেকটা সময় উইকেটে থেকে দলকে জয়ের খুব কাছে পৌঁছে ফিরে আসেন সাজঘরে। ১০৬ বলে ১০ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ১০৫ করেন তিনি।

১১ খেলায় ৭ জয় ও বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত খেলায় ১ পয়েন্ট পাওয়ার সুবাদে খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যদের সংগ্রহ দাঁড়ালো ১৫।

সংক্ষিপ্ত স্কোরপ্রাইম ব্যাংক: ৪৭.৩ ওভারে ২০৩/১০ (সাব্বির হোসেন ২২, নাইম শেখ ৩৬, শাহাদাত হোসেন দিপু ০, শামীম পাটোয়ারী ৭, জাকির হাসান ২২, ইরফান শুক্কুর ৪৩, সাজ্জাদুল হক রিপন ৫১*; মেহেদী হাসান ৩/৪৩, আসাদুজ্জামান পায়েল ২/৪২, নাইম ইসলাম ২/৩৭, নিহাদউজ্জামান ২/২৯, ইলিয়াস সানি ১/১৫)।

গুলশান ক্রিকেট ক্লাব: ৩৭.১ ওভারে ২০৪/৫ (জাওয়াদ আবরার ৩৩, আজিজুল হাকিম তামিম ১০৫, খালিদ হাসান ৩৮; নাইম আহমেদ ২/৪৫, নাজমুল ১/৫১. শামীম পাটোয়ারী ১/৩০)।

ফল: গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ৫ উইকেটে জয়ী।

এআরবি/এমএমআর/জেআইএম