ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে চলছে বিক্ষোভ। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার আমতলা, মুর্শিদাবাদের সুতিতে ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে মিছিল বের হয়।
Advertisement
সেই মিছিল চলাকালীন পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ছোট ছোট সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশের গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষোভকারীরা।
এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, গণতন্ত্রে প্রতিবাদ হতেই পারে, তবে তাণ্ডব নয়, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। আমি রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে শান্তির ব্যাপারে কথা বলেছি। মুখ্য সচিব মনজ পন্থ আমাকে জানিয়েছেন, রাজ্য কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস আরও বলেন, রাজ্য পুরোপুরি প্রস্তুত। আইন ভাঙলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। রাজভবনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতির ওপর করা নজর রাখা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে ২৪ ঘণ্ট কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
Advertisement
এই পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গেও কথা হয়েছে বলে জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
এই ঘটনার পরেই রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,পরিস্থিতি এখনো আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিক্ষোভ দমন করতে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নিয়মিতভাবে পুলিশের সঙ্গে বিএসএফ টহল দেবে।
গত বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) ভারতের সংসদ ভবনে বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাশ করা হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর সইয়ের পর সেই বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী বিল আইনে পরিনত হয়েছে। এরপর থেকেই নতুন ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে।
ডিডি/এমএসএম
Advertisement