চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম পর্ব। আর্সেনালের মাঠ এমিরেটস স্টেডিয়ামে মুখোমুখি স্বাগতিক আর্সেনাল এবং বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটাতে রিয়াল মাদ্রিদ ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে আর্সেনালের কাছে। তবে গানারদের এই বীরত্বগাঁথায় বীর কিন্তু একজনই। ডেকলান রাইস। যার চোখ ধাঁধানো, অবিশ্বাস্য দুটি ফ্রি-কিক জড়িয়ে যায় লজ ব্লাঙ্কোজদের জালে।
Advertisement
কিভাবে ফ্রি-কিক থেকে রিয়াল মাদ্রিদের জালে বল জড়ালেন রাইস? যারা সরাসরি দেখেছেন এবং যারা পরে ভিডিওতে ফ্রি-কিকের ফুটেজ দেখেছেন, সবার কাছেই অবিশ্বাস্য ঠেকেছে। সবারই কথা, ‘এ তো অসাধারণ দুটি ফ্রি কিক!’
Two special Declan Rice free-kicksLautaro golazo Merino first-time finish @Heineken | #UCLGOTD pic.twitter.com/y8YpK7iC1e
— UEFA Champions League (@ChampionsLeague) April 8, 2025বক্সের সামনে থেকে নেয়া বাঁকানো ফ্রি-কিক দুটিই ঠেকানোর জন্য দেয়াল তৈরি করেছিলো রিয়াল। কিন্তু সেই দেয়াল এবং গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়াকে ফাঁকি দিয়ে ঠিকই জড়িয়ে গেলো রিয়ালের জালে। এমন ফ্রি-কিক দেখে অনেকেই বলছিলো, মেসি হয়তো ভর করেছিলো ডেকলান রাইসের মধ্যে। কেউ কেউ বলছিলো, ফ্রান্সের বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ান কার্লোসের নেয়া সেই বিখ্যাত ফ্রি-কিকের যেন নতুন ভার্সন দেখা গেলো রাইসের পায়ে।
Advertisement
অথচ প্রথম গোল করার সময় ডেকলান রাইসকে শটই নিতে দিতে রাজি ছিল না আর্সেনালের সেট-পিচ কোচ নিকোলাস জোভার। রিয়ালের ডিফেন্স ওয়াল দেখে তিনি চেয়েছিলে রাইস বলটা ক্রস করে দিক; কিন্তু ডেকলান রাইসকে কিকই নিতে বলেছিলেন বুকায়ো সাকা। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সে কথাই জানালেন রাইস।
ফ্রি-কিক নেয়ার সময় বাইরে থেকে জোভার যেভাবে কথা বলেছেন এবং হাত দিয়ে ইশারা করেছেন তাতে সবাই মনে করেছিলো হয়তো তিনিই রাইসকে ওভাবে শট নিতে বলেছিলেন। আবার ক্লাবের অনুশীলনে সেট-পিসে শট নেয়ার ক্ষেত্রে যে প্রভাব বিস্তার করেন, তাতে মনে করা হয়েছিলো, হয়তো বাঁকানো শট নেয়ার কথা জোভারই বলেছিলেন। কিন্তু রাইস বলেছেন ভিন্ন কথা।
রাইস বলেন, ‘তিনি (জোভার) আমাকে বলেছিলেন (বল) ক্রস করে দিতে। আমি ঠিক সেভাবে চিন্তা করিনি। কারণ, শটটা নিতে পেরে আমি খুশি। বুকায়ো সাকা আমাকে বলেছিলেন, তুমি যদি চাও তাহলে এটা (কিক) তুমি নিতে পারো। এরপর (শট নিতে এসে) আমি তাকিয়েছি সামনের ওয়ালে এবং গোলরক্ষককে। এরপর চিন্তা করলাম, আমি যদি এটাকে একটু বাঁকিয়ে দিতে পারি, তাহলে হয়তো গোল হবে।’
পুরনো অভিজ্ঞতা জানিয়ে রাইস বলেন, ‘আমি এর আগে অনেক শট নিয়েছি। যেগুলোর অধিকাংশই হয়তো ওয়ালে ধাক্কা খেয়েছে কিংবা বারের ওপর দিয়ে মেরে দিয়েছি। আমরা প্রায় সময় এমন অবস্থায় বলকে ক্রস করে দিই। কিন্তু আমি শুধু ডিফেন্স ওয়ালটা ও গোলরক্ষকের পজিশন দেখেই চিন্তা করে নিয়েছি, ক্রস নয় সরাসরিই শটটা নিয়ে নিই।’
Advertisement
দ্বিতীয় গোলের কথা জানাতে গিয়ে রাইস বলেন, ‘বলটা ছিল আগের চেয়ে অনেকটা দুরে। চেয়েছিলাম ওয়ালের ওপর দিয়ে বল ফেলতে। কিন্তু আমি গোলরক্ষকের সাইড দিয়ে শট নেয়ার অনেক অনুশীলন করেছিলাম। সেটাকেই কাজে লাগিয়ে দিয়েছি। প্রথম গোলের পর আসলে আমার অনেক আত্মবিশ্বাস জন্ম নিয়েছিল।’
আইএইচএস/