জাতীয়

কোনো ম্যাজিক নয়, সবাই কাজ করায় রমজান ও ঈদযাত্রা স্বস্তির হয়েছে

কোনো ম্যাজিক নয়, সবাই কাজ করায় রমজান ও ঈদযাত্রা স্বস্তির হয়েছে

অন্তর্বর্তী সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, এবারের ঈদযাত্রা অনেক স্বস্তির হয়েছে। রমজান মাসে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়নি। কোনো ম্যাজিকে নয়, দেশের জন্য সবাই নিবেদিত হয়ে কাজ করেছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।

Advertisement

বাংলাদেশ ইনভেস্ট সামিটের তৃতীয় দিনে বুধবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে আনলকিং দ্য পটেনশিয়াল অফ বাংলাদেশ ফর ইনভেস্টরস ইন রিনিউএবল এনার্জির শীর্ষক প্যানেল আলোচনার শুরুতে এ কথা বলেন তিনি।

গত ২০ বছরে রমজানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হয়নি জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই উপদেষ্টা বলেন, কোনো ম্যাজিক নয়। আমরা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি। কর্মকর্তাদের বলেছি কীভাবে কাজ করতে হবে। ফলাফল আপনারা দেখেছেন।

তিনি বলেন, এবার ঈদযাত্রায় যানজট, বেশি ভাড়া আদায়, টিকিট না পাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি। পরিবহন সিন্ডিকেট বন্ধ হয়েছে। সবাই মিলে কাজ করেছি। সফলতা পেয়েছি।

Advertisement

প্যানেল আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সিইও আহসান খান চৌধুরী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, শ্রেডার চেয়ারম্যান খন্দকার আব্দুল হাই, গ্রামীণ ফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার তানভীর আহমেদ, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই উপদেষ্টা আরও বলেন, অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছে কীভাবে এবার লোডশেডিংমুক্ত রমজান হলো, এটাতো ২০ বছরেও হয়নি। কীভাবে কাজ করতে হবে আমরা তা এবার দেখিয়ে দিয়েছি। এবার রমজানে লোডশেডিং হয়নি। ঈদযাত্রা স্বস্তির করতে আমরা স্থানীয় প্রশাসন, ট্রাফিক পুলিশসহ সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করেছি। আমরা দেশের হয়ে কাজ করেছি।

তিনি বলেন, আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে আরও কাজ করতে আগ্রহী। সরকার জ্বালানি খাতে প্রচুর ভর্তুকি দিচ্ছে। জনপ্রতি ৩ হাজার টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে জ্বালানি খাতে। আমরা এখন এটা ব্যালেন্স করতে চাই। এজন্য আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি চাই। এটা ব্যবহার করতে পারলে গ্যাস রিজার্ভকেও বাঁচাতে পারবো।

তিনি বলেন, জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের জন্য আমরা বাজার উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আগে এর জন্য ওপরের কারও সঙ্গে পরিচয় রাখার দরকার ছিল। জ্বালানি মন্ত্রীর উপদেষ্টার সঙ্গে পরিচয় রাখার প্রয়োজন হতো। এখন আর এর প্রয়োজন নেই। এখন মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করা সহজ। আমার জানার দরকার নেই তারা কারা। যোগ্যতা অনুযায়ী প্রকল্পগুলো মূল্যায়িত হবে। যোগ্যদের আমরা প্রকল্প দেবো। কাজ পেতে কারও সঙ্গে পরিচয়ের দরকার হবে না। আপনি ব্যবসা করতে পারবেন। এখানে ডিলের আগে ডিল, এই ব্যাপারটা নেই।

Advertisement

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ বলেন, দুই দশকের বেশি সময় ধরে আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু সোলারে বেশি দূর এগোতে পারিনি। আমরা নীতি মালা পরিবর্তন করেছি, এখন এ খাতে প্রচুর বিনিয়োগ প্রত্যাশা করছি।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সিইও আহসান খান চৌধুরী বলেন, আমরা এইচ এনএমের সঙ্গে কাজ করতে পেরে আনন্দিত। আগামীতে কেবল বাণিজ্যিকভাবেই নয় সোলার পাওয়ার আমাদের কারখানায় ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এসএম/এমআইএইচএস/জেআইএম