গুলিবিদ্ধ নাফিজকে রিকশার পাদানিতে তুলে দেওয়া হয়। তখনো রড ধরে রেখেছিলেন নাফিজ। কিন্তু পাওয়া যায়নি তার লাশ। সেই সময়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে রাজধানীর ফার্মগেটে গোলাম নাফিজকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় তিন মাস বাড়ানো হলো।
Advertisement
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক টবি ক্যাডম্যান, প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান, প্রসিকিউটর এস এম মইনুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর ফার্মগেটের পদচারী-সেতুর নিচে গুলিবিদ্ধ হন গোলাম নাফিজ। রিকশার পাদানিতে তার মাথা এক পাশে ঝুলে ছিল, আরেক পাশে নিস্তেজ পা দুটি ঝুলছিল। ট্রাইব্যুনালে সেই ঘটনায় হওয়া মামলার সব আসামি পুলিশ সদস্য।
শুনানিতে প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন বলেন, আসামিদের কেউ গ্রেফতার হননি। অভ্যুত্থানের পর তারা কর্মস্থলে যোগ দেননি। এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তিন মাস সময় চাইলে ট্রাইব্যুনাল তা অনুমোদন করেন।
Advertisement
এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার তদন্ত চলমান আছে। তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও আগে থেকেই পলাতক থাকার কারণে তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন, গোলাম নাফিজ গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরও জীবিত ছিলেন। রিকশায় করে তাকে তিনটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কোনো হাসপাতাল তাকে চিকিৎসা দেয়নি। তাকে একবার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার, আরেকবার ম্যানহোলে তার লাশ ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
এছাড়া একইভাবে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সেই সময়কার নৃশংস ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে।
এফএইচ/এসএনআর/এএসএম
Advertisement