আন্তর্জাতিক

তুরস্কে পুতিনের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করতে চান জেলেনস্কি

তুরস্কে পুতিনের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করতে চান জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে তুরস্কে বৈঠকে প্রস্তুত আছেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি আলোচনার আহ্বানের পর রোববার (১২ মে) এই ঘোষণা দেন জেলেনস্কি।

Advertisement

তবে ক্রেমলিন এই প্রস্তাবে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। একইসঙ্গে, জেলেনস্কি স্পষ্ট করেননি যে, রাশিয়া যদি ইউক্রেন ও তার মিত্রদের প্রস্তাবিত ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হয়, তাহলে তিনি তুরস্ক সফরে যাবেন কি না।

এক্স (পূর্বে টুইটার) পোস্টে জেলেনস্কি লেখেন, আমরা সোমবার (১৩ মে) থেকে একটি পূর্ণ ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রত্যাশা করছিলাম, যা কূটনীতির জন্য প্রয়োজনীয় ভিত্তি তৈরি করবে। হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাওয়ার কোনো মানে নেই। আমি বৃহস্পতিবার (১৫ মে) তুরস্কে পুতিনের জন্য অপেক্ষা করব- ব্যক্তিগতভাবে।

এর আগে, রোববার ভোরে পুতিন বলেন, ২০২২ সালের মার্চে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনার ধারাবাহিকতা আবার শুরু করা উচিত। তবে তিনি ইউক্রেনের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।

Advertisement

এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্ল্যাটফর্মে লেখেন, পুতিন যুদ্ধবিরতি চান না, তিনি বৃহস্পতিবার তুরস্কে বৈঠকে বসতে চান। ইউক্রেনের উচিত এখনই এতে সম্মত হওয়া।

তবে কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্ররা স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাতের অবসানে কেবলমাত্র নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির মাধ্যমেই কূটনৈতিক সমাধান সম্ভব।

অন্যদিকে, শনিবার (১০ মে) কিয়েভ সফরে গিয়ে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও পোল্যান্ডের নেতারা রাশিয়ার প্রতি সোমবার থেকে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।

জেলেনস্কির প্রধান সহযোগী আন্দ্রি ইয়ারমাক বলেন, যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে সম্মতি পেলেই জেলেনস্কি আলোচনায় বসবেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তবে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস রাশিয়ার আলোচনার প্রস্তাবকে ‘ভালো সংকেত’ বললেও এটিকে ‘অসম্পূর্ণ’ উল্লেখ করে একটি বাস্তব যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।

Advertisement

এদিকে, পুতিনের প্রস্তাব, যদিও কোনো যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি ছাড়াই, বৃহস্পতিবার ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসবেন তিনি। রুশ প্রেসিডেন্ট ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর ‘চরমপন্থি ভাষা’ ও ‘আলটিমেটাম’র সমালোচনা করেন।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান রোববার পুতিনকে ফোনকলে জানান, আঙ্কারা আলোচনার আয়োজনে প্রস্তুত।

সূত্র: এএফপি

এসএএইচ