শাশুড়ি এবং বউ এই দুটি শব্দ শুধু পারিবারিক সম্পর্কের দুটি ভিন্ন প্রান্ত নয়, বরং একটি পরিবারের হৃৎস্পন্দন। যুগ যুগ ধরে এই সম্পর্ক ভালোবাসার অমৃত সুধা যেমন বর্ষণ করেছে, তেমনি কখনো কখনো তিক্ততার বিষবাষ্পেও ছেয়ে গেছে। এটি আসলে দুটি ভিন্ন প্রজন্মের নারীর এক মেলবন্ধ। একজন নারী তার বহু যত্নে গড়া পুত্রকে যখন অন্য এক নারীর হাতে তুলে দেন, তখন তার মনে থাকে একরাশ আশা ও ভালোবাসা।
Advertisement
অন্যদিকে, একজন নববধূ যখন সম্পূর্ণ নতুন একটি পরিবেশে এসে তার স্বামীর পরিবারের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে নেয়, তখন তার চোখে থাকে স্বপ্ন আর প্রত্যাশা। এই সম্পর্কের ভিত্তিপ্রস্তর হওয়া উচিত খাঁটি ভালোবাসা, পারস্পরিক সম্মান এবং গভীর বোঝাপড়া। তবে জীবনের বাস্তবতা সবসময় এই আদর্শের প্রতিচ্ছবি হয় না। সামাজিক প্রেক্ষাপট, পারিবারিক রীতিনীতি আর দুটি ভিন্ন মানুষের স্বভাবের সংমিশ্রণে এই সম্পর্কের সমীকরণ প্রায়শই জটিল হয়ে ওঠে।
ভালোবাসা প্রতিটি সম্পর্কের জন্মলগ্ন এবং প্রধানতম শক্তি। শাশুড়ি-বউয়ের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এই সত্য ব্যতিক্রম নয়। যখন একজন শাশুড়ি তার পুত্রবধূকে কেবল ছেলের স্ত্রী হিসেবে না দেখে নিজের মেয়ের মতো আপন করে নেন, তখন অনেক অপ্রত্যাশিত জটিলতা সহজেই দূরীভূত হয়। তেমনি যখন একজন বউ তার শাশুড়িকে শুধু স্বামীর মা হিসেবে না দেখে একজন অভিজ্ঞ, স্নেহময় অভিভাবক হিসেবে দেখেন, তখন শ্রদ্ধা ও সম্মানের আসনটি স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়। এ ভালোবাসার প্রকাশ বিভিন্ন রূপে দেখা যায়– একে অপরের প্রতি আন্তরিক সহানুভূতি দেখানো, কঠিন সময়ে নিঃস্বার্থভাবে পাশে থাকা, দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট বিষয়েও একে অপরের প্রতি খেয়াল রাখা এবং মর্যাদা দেওয়া। পারস্পরিক স্নেহ এবং মমত্ববোধের স্পর্শেই এই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী ও মধুময় হয়ে ওঠে।
শ্রদ্ধা এই সম্পর্কের এক অবিচ্ছেদ্য স্তম্ভ। একজন শাশুড়ি তার দীর্ঘ জীবনের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান এবং পারিবারিক ঐতিহ্যের ভান্ডারের জন্য স্বভাবতই বউয়ের কাছে সম্মানের পাত্রী। অন্যদিকে, একজন আধুনিকমনস্ক বউ তার নতুন ভাবনা, শিক্ষা এবং পরিবর্তিত সমাজের জ্ঞান দিয়ে শাশুড়ির কাছ থেকে স্বীকৃতি পেতে পারেন। প্রজন্মের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও একে অপরের স্বতন্ত্র মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া এবং সম্মান জানানো অপরিহার্য। মনে রাখতে হবে, দুজন নারীই নিজস্ব স্বকীয়তা, অভিজ্ঞতা এবং মূল্যবোধ নিয়ে এসেছেন। একে অপরের বিশ্বাস এবং রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া একটি সুস্থ সম্পর্কের চাবিকাঠি।
Advertisement
বোঝাপড়া যে কোনো সম্পর্কের সাফল্যের মূলমন্ত্র আর শাশুড়ি- বউয়ের সম্পর্কও এর ঊর্ধ্বে নয়। একে অপরের মানসিক চাহিদা, ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ এবং দৈনন্দিন জীবনযাত্রার ধরন সম্পর্কে অবগত থাকা জরুরি। ভুল বোঝাবুঝি যে কোনো পরিস্থিতিতেই ঘটতে পারে, কিন্তু খোলা মনে এবং ধৈর্য ধরে আলোচনা করে এবং একে অপরের দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি অনুধাবন করার চেষ্টা করলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার সমাধান সম্ভব। নীরবতা অবলম্বন করা বা একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা কখনোই কোনো সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয়, বরং তা সম্পর্কের মধ্যে আরও তিক্ততা এবং দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারে। সুস্পষ্ট এবং আন্তরিক যোগাযোগের মাধ্যমেই পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ে।
তবে এই সম্পর্কের পথে কিছু স্বাভাবিক কাঁটাও বিছানো থাকে। সময়ের স্রোতে সামাজিক রীতিনীতি, পারিবারিক প্রথা এবং ব্যক্তিগত মূল্যবোধে পরিবর্তন আসে। পুরোনো ধ্যানধারণা এবং নতুন প্রজন্মের জীবনযাত্রার মধ্যকার ব্যবধান অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘাতের জন্ম দেয়। পারিবারিক রীতিনীতি পালন, খাদ্যাভ্যাস, সন্তান প্রতিপালনের পদ্ধতি, গৃহস্থালির কাজকর্মের বণ্টন– এমন অসংখ্য বিষয়েই মতপার্থক্য দেখা যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সহনশীলতা এবং ছাড় দেওয়ার মানসিকতা অত্যাবশ্যক। দুজনেরই মনে রাখতে হবে একটি সুন্দর এবং পূর্ণাঙ্গ পরিবারের জন্য নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা এবং বোঝাপড়া অপরিহার্য। সংকীর্ণ মানসিকতা পরিহার করে বৃহত্তর পারিবারিক কল্যাণের কথা বিবেচনা করা উচিত।
সম্প্রতি এএসপি পলাশ সাহার মর্মান্তিক আত্মহত্যার ঘটনা যেন শাশুড়ি- বউয়ের সম্পর্কের অন্তর্নিহিত জটিলতাকে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। পলাশ সাহা মৃত্যুর আগে রেখে যাওয়া চিরকুটে স্পষ্ট করে গেছেন যে, তার এই চরম সিদ্ধান্তের জন্য তার মা এবং স্ত্রী কেউই দায়ী নন। তবে তার এই আকস্মিক প্রয়াণের পর তার মা আরতি সাহা এবং স্ত্রী সুস্মিতা সাহার একে অপরের প্রতি অভিযোগের তীর নিক্ষেপ প্রমাণ করে তাদের মধ্যে সুসম্পর্কের অভাব ছিল।
সম্প্রতি এএসপি পলাশ সাহার মর্মান্তিক আত্মহত্যার ঘটনা যেন শাশুড়ি- বউয়ের সম্পর্কের অন্তর্নিহিত জটিলতাকে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। পলাশ সাহা মৃত্যুর আগে রেখে যাওয়া চিরকুটে স্পষ্ট করে গেছেন যে তার এই চরম সিদ্ধান্তের জন্য তার মা এবং স্ত্রী কেউই দায়ী নন। তবে তার এই আকস্মিক প্রয়াণের পর তার মা আরতি সাহা এবং স্ত্রী সুস্মিতা সাহার একে অপরের প্রতি অভিযোগের তীর নিক্ষেপ প্রমাণ করে তাদের মধ্যে সুসম্পর্কের অভাব ছিল।
Advertisement
আরতি সাহার অভিযোগ, সুস্মিতা সাহা তার পুত্রকে মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন, যা সহ্য করতে না পেরেই পলাশ আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। অন্যদিকে, সুস্মিতা সাহার ভাষ্য অনুযায়ী, তার শাশুড়ি কখনোই তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে দেননি এমনকি পলাশের জন্য তাকে রান্না করতেও দিতেন না। বিভিন্ন গণমাধ্যমে উভয় পক্ষের এমন পরস্পরবিরোধী বক্তব্য এটাই স্পষ্ট করে যে তাদের মধ্যে ভালোবাসার অভাব ছিল। যদি আরতি সাহা ও সুস্মিতা সাহার মধ্যে পারস্পরিক সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকত, তাহলে হয়তো আজ পলাশ সাহার মতো একজন তরতাজা প্রাণ অকালে ঝরে যেত না। আমাদের সমাজে এমন অনেক আরতি সাহা এবং সুস্মিতা সাহাকে দেখা যায়, যাদের সম্পর্ক তিক্ততায় পরিপূর্ণ। এই সম্পর্কগুলো যদি মা ও মেয়ের মতো মধুর হতো, তাহলে হয়তো অনেক সংসার ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেত। সম্পর্কে বোঝাপড়া থাকাটা অত্যন্ত জরুরি, কারণ বোঝাপড়া থাকলে ভুল বোঝাবুঝি হলেও খুব সহজেই তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
এছাড়া শাশুড়ি এবং বউ উভয়েরই কিছু সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে এই সম্পর্কটি সুন্দর ও ফলপ্রসূ করে তোলার জন্য। একজন শাশুড়িকে যেমন তার পুত্রবধূকে কেবল একজন আগন্তুক হিসেবে না দেখে নিজের পরিবারের একজন নতুন সদস্য হিসেবে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করতে হবে, তেমনি তার ব্যক্তিগত পরিসর এবং নিজস্ব সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে সম্মান জানাতে হবে। সবসময় নিজের মতামত চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা পরিহার করা উচিত। অন্যদিকে, একজন বউকে তার শাশুড়ির প্রতি যথাযথ সম্মান ও যত্নশীল হতে হবে এবং তার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা ও মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। যে কোনো বিষয়ে সরাসরি বিরোধিতা না করে সম্মানজনকভাবে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করা উচিত। পারস্পরিক দোষারোপের সংস্কৃতি পরিহার করে গঠনমূলক আলোচনা এবং সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খোঁজা বুদ্ধিমানের কাজ।
বর্তমান সামাজিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেক শাশুড়ি- বউয়ের সম্পর্কই প্রথাগত কাঠিন্য ভেঙে বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে। সময়ের হাত ধরে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন এসেছে এবং অনেকেই এই সম্পর্কটি একটি শক্তিশালী ও ইতিবাচক বন্ধনে রূপান্তরিত করতে সক্ষম হয়েছেন। একে অপরের সহযোগী হয়ে, সংসারের দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করে এবং পারিবারিক আনন্দ-দুঃখে পাশে থেকে তারা একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ পারিবারিক পরিবেশ তৈরি করছেন। আধুনিক সমাজে অনেক শাশুড়ি তাদের পুত্রবধূদের কর্মজীবনে উৎসাহিত করছেন এবং তাদের ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা পূরণে সহযোগিতা করছেন। একইভাবে, অনেক বউও তাদের শাশুড়ির শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল এবং তাদের একাকিত্ব দূর করতে সচেষ্ট।
শাশুড়ি-বউ একটি সুস্থ সম্পর্ক কেবল দুজন নারীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং এটি একটি সুখী ও সমৃদ্ধ পরিবারের ভিত্তি স্থাপন করে। যখন এই দুজনের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকে, তখন পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। শিশুরা একটি শান্তিপূর্ণ ও স্নেহপূর্ণ পরিবেশে বেড়ে ওঠে এবং পারিবারিক বন্ধন আরও দৃঢ় হয়। পক্ষান্তরে, যদি এই সম্পর্কে তিক্ততা থাকে, তবে পুরো পরিবারেই অস্থিরতা এবং অসন্তোষের সৃষ্টি হতে পারে। তাই, এই সম্পর্কটি গুরুত্ব দেওয়া এবং এটিকে লালন করা প্রতিটি পরিবারের সদস্যের দায়িত্ব।
শাশুড়ি- বউয়ের সম্পর্কের উন্নতিতে কিছু বিষয় বিশেষভাবে মনে রাখা প্রয়োজন:১. যোগাযোগের গুরুত্ব: সুস্পষ্ট, খোলামেলা এবং সম্মানজনক যোগাযোগ যে কোনো সম্পর্কের মূল ভিত্তি। নিজেদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি হলে তা চেপে না রেখে শান্তভাবে আলোচনা করা উচিত। একে অপরের বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং নিজেদের মতামত স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা জরুরি।
২. সহানুভূতি ও সহমর্মিতা: একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং অন্যের অবস্থানে নিজেকে কল্পনা করার চেষ্টা করা সম্পর্কের তিক্ততা কমাতে সাহায্য করে। শাশুড়িকে মনে রাখতে হবে যে বউ একটি নতুন পরিবেশে এসেছেন এবং তার কিছু অসুবিধা হতে পারে। অন্যদিকে, বউকে মনে রাখতে হবে যে শাশুড়ি দীর্ঘদিনের পারিবারিক রীতিনীতি ও ঐতিহ্যের ধারক এবং তার কিছু আবেগ থাকতে পারে।
৩. ব্যক্তিগত পরিসরের প্রতি সম্মান: প্রত্যেকেরই নিজস্ব ব্যক্তিগত পরিসর এবং নিজস্ব কিছু পছন্দ-অপছন্দ থাকে। শাশুড়ি এবং বউ উভয়েরই একে অপরের ব্যক্তিগত পরিসরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত এবং অযাচিত হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।
৪. ধৈর্য ও সহনশীলতা: যে কোনো নতুন সম্পর্কের মতো শাশুড়ি- বউয়ের সম্পর্ককেও ধীরে ধীরে গড়ে তুলতে হয়। তাড়াহুড়ো করা বা অতিরিক্ত প্রত্যাশা রাখা উচিত নয়। একে অপরের প্রতি ধৈর্য ধরা এবং ছোটখাটো ভুলগুলো ক্ষমা করে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
৫. মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা: স্বামী বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্য যদি শাশুড়ি এবং বউয়ের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি দেখেন, তবে তাকে নিরপেক্ষভাবে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করা উচিত। কোনো এক পক্ষের হয়ে কথা বলা উচিত নয়, বরং উভয়ের বক্তব্য শুনে একটি সুষ্ঠু সমাধানের পথ বের করা উচিত।
৬. ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি: সম্পর্কের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখা অত্যন্ত জরুরি। একে অপরের ভালো গুণগুলো খুঁজে বের করা এবং সেগুলোর প্রশংসা করা উচিত। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা পরিহার করে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করা উচিত।
৭. সময়ের গুরুত্ব: সময় সবকিছু পরিবর্তন করতে পারে। ধীরে ধীরে একে অপরের সাথে পরিচিত হওয়া এবং একটি পারস্পরিক বোঝাপড়া তৈরি হওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় দেওয়া উচিত।
শাশুড়ি- বউয়ের সম্পর্ক ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়ার এক সূক্ষ্ম বন্ধন। এই বন্ধন মজবুত করতে হলে উভয়কেই আন্তরিক হতে হবে এবং একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। একটি সুন্দর এবং সুখী পরিবারের জন্য এই সম্পর্কের গুরুত্ব অপরিসীম। পারস্পরিক সহযোগিতা, সম্মান এবং স্নেহের মাধ্যমেই এই সম্পর্ক একটি শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী বন্ধনে পরিণত হতে পারে, যা কেবল দুজন নারীকে নয়, পুরো পরিবারকে সমৃদ্ধ করে তোলে।
লেখক : গবেষক।
এইচআর/এমএফএ/জেআইএম