গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে চলছে বিক্ষোভ। ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ বা শীর্ষক এই কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে পালন করা হচ্ছে সাধারণ ধর্মঘট। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এই কর্মসূচি কোথা থেকে শুরু হলো, তা জানেন না অনেকেই।
Advertisement
গত ৫ এপ্রিল প্রথম এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয় ‘ট্রান্সলেটিং ফালাস্তিন’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে। প্ল্যটফর্মটি ফিলিস্তিনের কণ্ঠস্বর বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করে, বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এটি ফিলিস্তিন-সম্পর্কিত তথ্য, ভিডিও, এবং বার্তা অনুবাদ করে বিশ্বব্যাপী দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেয় এবং সেই সঙ্গে ত্রাণ সহায়তার কাজেও জড়িত।
আরও পড়ুন>>
গাজার ৫০ শতাংশ ইসরায়েলের দখলে, নিজভূমে পরবাসী ফিলিস্তিনিরা ‘পাহাড় বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে শিশুদের ওপর’ রাফাহকে গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় ইসরায়েলগত ৫ এপ্রিল ট্রান্সলেটিং ফালাস্তিনের এক্স, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ছবি পোস্ট করা হয়, যেখানে ফিলিস্তিনের পতাকাসহ লেখা ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা, নো ওয়ার্ক, নো স্কুল, আনটিল দ্য জেনোসাইড স্টপস’। একই পোস্টে ৭ এপ্রিল সাধারণ ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
Advertisement
GAZA HAS CALLED FOR A GLOBAL STRIKE THIS MONDAY, APRIL 7TH, 2025. We all have a duty to follow. No School. No Universities. No Work. Until the genocide ends. Everyone must move for this cause. We cannot sit by in the digital world while an entire population is being starved,… pic.twitter.com/z8vCRcVU22
— Translating Falasteen (Palestine) (@translatingpal) April 5, 2025এতে বলা হয়, এই সোমবার (৭ এপ্রিল, ২০২৫) বিশ্বব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে গাজা। আমাদের সবার এই ধর্মঘট পালন করা কর্তব্য। স্কুল বন্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, কাজ বন্ধ। গণহত্যা শেষ না হওয়া পর্যন্ত (বন্ধ)। এই উদ্দেশ্যে সবাইকে পথে নামতে হবে। ডিজিটাল জগতে আমরা চুপচাপ করে বসে থাকতে পারি না, যখন একটা পুরো জাতি অনাহারে, বোমা হামলায় এবং নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। প্রতিবাদ করুন। সংগঠিত হন। পথে নামুন।
পোস্টে আরও বলা হয়, এই বার্তাটি অন্তত তিনজন বন্ধুর কাছে পাঠান। এটি কেবল তখনই কাজ করবে, যখন সবাই পথে নামবে।
ট্রান্সলেটিং ফালাস্তিনের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ৩ লাখ ৭৫ হাজার, টিকটকে ৩ লাখ ৩৭ হাজার এবং এক্সে প্রায় ২০ হাজার অনুসারী রয়েছে। শেয়ার হওয়ার পরপরই তাদের পোস্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গাজায় নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে প্ল্যাটফর্মটির ডাকে সাড়া দিয়ে কাজ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন অনেকে।
Advertisement
বাংলাদেশেও ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সোমবার এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছেন। একই কর্মসূচি পালন হচ্ছে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও।
কেএএ/