আগামী জুলাই-আগস্টে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ থেকে অংশ নেবেন দুই সাঁতারু সামিউল ইসলাম রাফি ও মোসাম্মাৎ অ্যানি আক্তার। রাফি থাইল্যান্ডে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন এবং দেশে প্রস্তুতি নিচ্ছেন অ্যানি আক্তার।
Advertisement
নারী সাঁতারু অ্যানি প্রথমবারের মতো ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবেন। গত বছর মে মাসে ৩৬তম জাতীয় বয়সভিত্তিক চ্যাম্পিয়নশিপে ১২ ইভেন্টে অংশ নিয়ে সব ক’টিতে স্বর্ণ জিতে এবং ৬টি নতুন রেকর্ড গড়ে আলোচনায় এসেছিলেন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এই সাঁতারু।
সর্বশেষ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম অংশ নিয়ে রিলেতে দুইটি স্বর্ণ এবং ১০০ ও ২০০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে রৌপ্য জিতেছেন বিকেএসপির সাবেক এই শিক্ষার্থী। ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের লক্ষ্য ও প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেছেন ১৭ বছর বয়সী প্রতিভাবান এই সাঁতারু।
জাগো নিউজ: কেমন আছেন। ঈদের শুভেচ্ছা। ছুটি কাটিয়ে কবে আবার অনুশীলনে ফিরবেন?
Advertisement
অ্যানি আক্তার: আলহামদুলিল্লাহ। আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা। কয়েকদিনের মধ্যেই ঢাকায় ফিরে অনুশীলন শুরু করবো।
জাগো নিউজ: প্রথমবারের মতো ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেবেন। কি লক্ষ্য আপনার?
অ্যানি আক্তার: বড় এই প্রতিযোগিতায় যাতে ভালো টাইমিং করতে পারি সেই চেষ্টাই করবো। ওখানে নিজের সেরা টাইমিং করতে পারলে সেটা অবশ্যই বড় অর্জন হবে।
জাগো নিউজ: আপনার এখন টামিং কতো ১০০ ও ২০০ মিটার ফ্রি-স্টাইলে?
Advertisement
অ্যানি আক্তার: আমার ১০০ মিটারে বেস্ট টাইমিং ১:০৬ মিনিট এবং ২০০ মিটারে ২:৩০ মিনিট।
জাগো নিউজ: বিকেএসপিতে কতসালে ভর্তি হয়েছিলেন?
অ্যানি আক্তার: ২০২০ সালে ভর্তি হয়েছিলাম। গত বছর বিকেএসপি থেকে বের হয়ে এখন আমি ঢাকা মডেল কলেজে প্রথম বর্ষে আছি।
জাগো নিউজ: বাসায় কে কে আছেন? অন্য কেউ খেলাধুলা করেন?অ্যানি আক্তার: বাসায় মা এবং আমরা তিন ভাইবোন। আমি বড় ও ছোট দুই ভাই। বাবা মারা গেছেন ২০১৯ সালে স্ট্রোক করে।
জাগো নিউজ: বাবা মারা যাওয়ার পর আপনার পরিবার কিভাবে চলছে?
অ্যানি আক্তার: বাবা মারা যাওয়ার পর আমার মামা সংসারের হাল ধরেছিলেন। আমি ২০২৩ সালে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীতে যোগ দেই। সেই বেতনেই এখন সংসার চালাই। ছোট দুই ভাই লেখাপড়া করে। সেভাবে কেউ খেলাধুলায় নেই। তবে আমার এক চাচাতো ভাই সাঁতারে আছেন। তার নাম আসিফ। তিনি বাংলাদেশ সেনাাহিনীতে চাকরি করেন।
জাগো নিউজ: ধন্যবাদ।অ্যানি আক্তার: আপনাকেও ধন্যবাদ।
আরআই/আইএইচএস/