পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দর্শনীয় স্থানে বরাবরের মতোই প্রচণ্ড ভিড় লেগে থাকে। ঈদের তৃতীয় দিনেও রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় চিড়িয়াখানায় ছিল জনস্রোত।
Advertisement
বুধবার (২ এপ্রিল) সরেজমিনে জাতীয় চিড়িয়াখানায় দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষের সমাগম। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী আজ প্রায় দেড় লাখ মানুষ চিড়িয়াখানায় এসেছেন।
জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার জাগো নিউজকে বলেন, চিড়িয়াখানায় আজও ব্যাপক জনসমাগম হয়েছে। আমাদের তথ্য অনুযায়ী প্রায় দেড় লাখ দর্শনার্থী এসেছেন যা গতকালের তুলনায় কিছুটা কম। গতকাল প্রায় দুই লাখ মানুষ এসেছিলেন। মূলত ঈদের দ্বিতীয় দিনই চিড়িয়াখানায় সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় যা পরে কিছুটা কমতে থাকে।
আজ দুপুরে দেখা যায়, মিরপুর-১ সনি সিনেমা হলের সামনে থেকে চিড়িয়াখানা যাওয়ার সড়কে ব্যাপক যানজট। দীর্ঘ সময় লোকজনকে যানজটে বসে থাকতে হচ্ছে। অনেকেই বাস থেকে নেমে হেঁটে চিড়িয়াখানায় যাচ্ছেন।
Advertisement
একদিকে চিড়িয়াখানার রাস্তায় যেমন ব্যাপক যানজট, অন্যদিকে এই সড়কের ফুটপাত প্রশস্ত হলেও অসংখ্য হকার, অস্থায়ী দোকান বসায় দর্শনার্থীদের হাঁটতেও বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। প্রচুর মানুষ ফুটপাতে থাকায় স্বাভাবিকভাবে হাঁটাও যাচ্ছিল না।
আল-আমিন তার পুরো পরিবার নিয়ে এসেছেন। যানজট থাকায় বিসিআইসি কলেজ থেকে হেঁটে হেঁটে চিড়িয়াখানায় এসেছেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে জ্যামের মধ্যে বসে থাকা যায়? তাই হেঁটেই এসেছি।
চিড়িয়াখানায় বেশিরভাগ দর্শনার্থীই সপরিবারে এসেছেন। যেহেতু ছোটদের পছন্দের জায়গা তাই সবাই পরিবারসহ এসেছেন।
তানিয়া নামে ছোট্ট এক শিশু অভিমান করে বলে, বাবাকে বলেছি সিংহ আর বাঘ দেখবো। কিন্তু বাবা বানর ছাড়া আর কিছু দেখায়নি!
Advertisement
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এখানে বাঘ, ভালুক, হরিণ, সিংহ, বানর, জলহস্তী, কুমির, সাপ, ইম্পালা, গয়াল, লামা, ময়না, টিয়া, ক্যাঙারু, জিরাফ, জেব্রা, হাতি, ময়ূর, উটপাখি, ইমু, শঙ্খচিল, কুড়াবাজ, তিলাবাজ, গন্ডার, হায়েনাসহ ১৩৬ প্রজাতির তিন হাজার ৩৪টি প্রাণী ও পাখি রয়েছে।
এসআরএস/বিএ