চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা হলেন দিলীপ বিশ্বাস ও তার স্ত্রী সাধনা রাণী। এ ঘটনায় তাদের মেয়ে আরাধ্য বিশ্বাস (৬) গুরুতর আহত হয়েছে।
Advertisement
বোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও নিহত দিলীপ বিশ্বাসের প্রতিবেশী শোভন কুমার কাজল জাগো নিউজকে জানান, দিলীপ বিশ্বাস ও তার স্ত্রী সাধনা রাণী মারা গেছেন। শিশুকন্যা আরাধ্য বেঁচে আছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
তিনি আরও জানান, দিলীপ বিশ্বাস স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। তিনি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে যাচ্ছিলেন।
এর আগে বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া চুনতি বন রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
Advertisement
আরও পড়ুন:
সেই জাঙ্গালিয়ায় বাস-মাইক্রো সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১০চট্টগ্রামের দোহাজারী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনজুর হোসেন বলেন, চট্টগ্রামমুখী রিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে কক্সবাজারগামী মাইক্রোবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে এক শিশুসহ ১০ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন পাঁচজন।
তিনি আরও জানান, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। সম্ভবত মাইক্রোবাসটি কক্সবাজারে যাচ্ছিল।
এদিকে নিহত দিলীপ বিশ্বাসের গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে চলছে শোকের মাতম। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে গ্রাম।
Advertisement
শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর শুনেছি। তবে চট্টগ্রাম থেকে এখনো অফিসিয়ালি আমরা কোনো তথ্য পাইনি। যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। আপডেট পেলেই গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাতে পারবো।
শাহজাহান নবীন/এসআর/জেআইএম