ঈদের জামাতের মধ্যদিয়ে শুরু, দিনব্যাপী খেলাধুলা, ভুঁড়ি ভোজসহ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় ঈদ উদযাপন করলেন কারাবন্দিরা। এছাড়াও কারা কর্তৃপক্ষ থেকে আত্মীয়-স্বজন ও দর্শনার্থীদের উপহার সামগ্রী দিয়ে অভ্যর্থনা জানানোর আয়োজন ছিল বন্দিদের জন্য বিশেষ পাওয়া।
Advertisement
দেশের প্রতিটি কারাগারেই বন্দিরা এভাবে ঈদ উদযাপন করেছেন বলে জানিয়েছেন সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ।
তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষের মতই দিনব্যাপী নানান আয়োজনে মেতে ছিলেন কারাবন্দিরা। ঈদের দিনটি আনন্দঘন পরিবেশ উদযাপনে দেশের সব কারাগারে যথাযথ নিরাপত্তায় বন্দিদের নিয়ে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বন্দিরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঈদুল ফিতরের নামাজে অংশগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতাদের ঈদ ঈদ উপলক্ষে কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ২৪ বন্দি কাজের মাঝেই ঈদ খুঁজে নিতে হয় গণমাধ্যমকর্মীদেরএছাড়াও বন্দিদের মাঝে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়। এর মধ্যে সকালের নাস্তায় পায়েস, মুড়ি; দুপুরে পোলাও, গরুর/খাসির মাংস, মুরগির রোস্ট, ডিম, সালাদ, কোল্ড ড্রিংকস, মিষ্টি, পান; রাতে ভাত, মাছ, আলুর দম। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরুষ ও নারী বন্দিদের বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। বন্দিরা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে এসব আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন এবং উপভোগ করেন।
Advertisement
মো. জান্নাত-উল ফরহাদ আরও বলেন, কারাগারগুলোতে বিভিন্ন প্রকার উপহার সামগ্রী যেমন- ফুল, চকোলেট, বাতাসা, কদমা, মিষ্টি, ফিরনি, বেলুন ইত্যাদি দিয়ে বন্দিদের আত্মীয়-স্বজন ও দর্শনার্থীদের অভ্যর্থনা জানানো হয়। কারা কর্তৃপক্ষের এ ধরনের সৌহার্দ্যপূর্ণ আয়োজন আগত দর্শনার্থীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী তিনদিন সব শ্রেণির বন্দিকে একবার বিশেষ সাক্ষাৎ ও টেলিফোনে নির্ধারিত নম্বরে কথা বলার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তিনদিনে একবার বাইরের খাবার গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশ জেলকে সবার মাঝে নতুনভাবে উপস্থাপন করছে।
কেআর/ইএ/এএসএম
Advertisement