দেশজুড়ে

কুষ্টিয়ায় ঈদগাহে টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ

কুষ্টিয়ায় ঈদগাহে টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ঈদগাহ মাঠে টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

Advertisement

সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা চাঁদপুর ইউনিয়নের নিয়ামতবাড়িয়া শাহ নিয়ামতউল্লাহ ঈদগাহ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৯ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা উপজেলা ও জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আহতরা হলেন, ওই এলাকার বদর উদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন (৪৬), করিমের ছেলে মুনহর শেখ (৫৫) সিজারত (৪৩), মনজু আলীর ছেলে কলম আলী (৩৮), মনছুর শেখের ছেলে আলম হোসেন (৩০), জিয়া শেখের ছেলে জিহাদ শেখ (১৮), মুজাহিদের ছেলে সাবিদ সাহা, আবু দাউদের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৫০) ও তার ছেলে বাধন শেখ (২১)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নিয়ামতবাড়িয়ার শাহ নিয়ামতউল্লাহ ঈদগাহ মাঠের পরিচালনা পরিষদের কমিটি নেই। সোমবার সকাল পৌনে ৯টায় ঈদের নামাজ পড়ান মাওলানা সুরুজ আলী। তিনি নামাজ শেষে ঘোষণা দেন এবার কোনো মসজিদের নামে টাকা আদায় করা যাবে না। ইমামের কথা অমান্য করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থক আলী রেজা (৬০) তার লোকজন দিয়ে টাকা আদায় শুরু করেন। তাদের টাকা আদায়ে বাধা দেন বিএনপির সমর্থক ফারুক হোসেন ও তার লোকজন।

Advertisement

এনিয়ে ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। বেশকিছুক্ষণ উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

দুপুরে সরেজমিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, আহতদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহৃ রয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসক।

এসময় আহত মনোহর শেখ ও আলম হোসেন বলেন, মসজিদের টাকা তুলে বাধা দেওয়ায় আওয়ামী লীগের সমর্থক আলী রেজা ও তার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। ইটপাটকেল মেরে আমাদের অন্তত সাতজনকে আহত করেছে। হামলায় ফারুক হোসেনের ঠোঁট কেটে গেছে। সেজন্য তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

অভিযোগ অস্বীকার করে আলী রেজা মুঠোফোনে বলেন, মসজিদের টাকা তোলার অপরাধে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করেছে। এতে আমাদের দুই-তিন জন আহত হয়ে বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

Advertisement

জানতে চাইলে চাঁদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ডাবলু বলেন, ঈদের মাঠে মসজিদের টাকা তোলা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেকেই আহত হয়েছেন।

তবে এ ঘটনায় ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক বিপাশা বৈশাখ। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক শামীমা আক্তার বলেন, ক্যামেরার সামনে কথা বলায় সমস্যা আছে।

সংঘর্ষের ঘটনা নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ঈদের মাঠে টাকা তোলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বর্তমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আল-মামুন সাগর/এমএন/এএসএম