জাতীয়

সবাই ঈদের আনন্দ করে, আমরা দূরে পরিবার রেখে রাস্তায় বসে থাকি

সবাই ঈদের আনন্দ করে, আমরা দূরে পরিবার রেখে রাস্তায় বসে থাকি

সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব, পবিত্র ঈদুল ফিতর। উৎসব আনন্দে মেতেছে সারাদেশের মানুষ। কিন্তু এ আনন্দের দিনেও কর্মে অবিচল কেউ কেউ।

Advertisement

তেমনই একজন নিরাপত্তাকর্মী সাদিকুল ইসলাম। ঈদের দিন সকালে সাদিকুলকে পাওয়া গেলো মতিঝিলের দিলকুশার ইউনূস সেন্টারের নিচে, সাউথইস্ট ব্যাংকের বুথের সামনে। বুথের সামনের ঝকঝকে টাইলসের সিঁড়িতে বসেছিলেন তিনি।

সাদিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নে। তার তিন সন্তান। দুই ছেলে ও এক মেয়ে। দুই ছেলে কলেজে পড়ে, মেয়ে এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে গ্রামেই থাকে।

সাদিকুল বলেন, পরিবারের সবাই গ্রামে। ৮/৯ হাজার টাকা বেতন দিয়ে পরিবারসহ এই শহরে থাকা যায় না।

Advertisement

তিনি বলেন, আমরা দুই ঈদে ছুটি পাই না। এক ঈদে ছুটি কাটাতে হয়। আমার সিরিয়াল পড়েছে কোরবানির ঈদে ছুটি নেওয়ার।

আরও পড়ুন

ঢাকার মানুষের নিরাপত্তায় সড়কে কাটছে পুলিশের ঈদ পুরান টাকায় ‘ঈদ সালামি’ দেওয়া-নেওয়ায় অনাগ্রহ

'সকালে ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। ঈদের দিন সবাই আনন্দ করে। আমরা দূরে পরিবার রেখে সারাদিন রাস্তায় বসে থাকি। সকাল ৮টায় শুরু করেছি, রাত ৮টা পর্যন্ত ডিউটি। এ রাস্তায়ই বসে থাকতে হবে, বলেন নিরাপত্তাকর্মী সাদিকুল।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের ভাবি ও বাচ্চাদের জামা-কাপড় কেনার জন্য টাকা পাঠিয়েছি, নিজে কিছু কিনি নাই।

Advertisement

আজ ঈদ উপলক্ষে দুপুরের খাবার কোম্পানি দেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর উত্তর রায়েরবাগ দোতলা মসজিদ রোডের হারুনুর রশিদ টাওয়ারের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের বুথে দায়িত্ব পালন করছিলেন ওমর ফারুক। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ।

ওমর ফারুক বলেন, পরিবারের সবাই গ্রামে থাকে। আমাদের পেটের দায়। ঈদের দিনেও ডিউটি করতে হয়।

তিনি বলেন, দুনিয়াটাই এমন। যার আছে, সব আছে। যার নাই কিছু নাই, পরিবারের সঙ্গে ঈদটাও করতে পারে না।

আরএমএম/এমএইচআর/এমএস