সানাউল হক সানি
Advertisement
টানা ১৬ ঘণ্টা বাড়ির উঠানে ফেলে রাখা হয়েছে বাবার মরদেহ। আর সন্তানরা তখন ব্যস্ত ছিলেন সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারায়। যতক্ষণ না সম্পদের হিসাব ঠিকঠাক মিলেছে; ততক্ষণ দাফন হয়নি বাবার লাশ।
একপর্যায়ে সমাধানে এগিয়ে আসেন ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মেম্বার ও এলাকাবাসী। দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার আলোচনা শেষে জমি বণ্টন হয় সন্তানদের মধ্যে। ততক্ষণ বাড়ির উঠানে খাটিয়ায় রাখা হয় লাশ। আর সেই লাশের পাশে বসে সন্তানরা নিজেদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের জন্য জমির হিস্যা নিয়ে দেন-দরবারে লিপ্ত ছিলেন।
ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের কোটা গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকায়। মৃতব্যক্তির নাম হাবিবুর রহমান বিশ্বাস (৭২)।
Advertisement
আরও পড়ুন
নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী শাহাদাৎ মারা গেছেন সীমান্তের একটি ছবি ঘিরে নেটদুনিয়ায় প্রশংসাবহুবছর শেষে যদি ফিরে আসে সব পূর্বপুরুষ। অথবা আমরাও যদি মাত্র একশ বছর পরে পুনর্জন্ম নিই। ফিরে পেতে চাই জমিয়ে যাওয়া সব বিত্ত-বৈভব। ফিরেও কি তাকাবে কেউ?
মাত্র সাড়ে তিন হাত মাটির হিস্যা যারা তাৎক্ষণিক বুঝিয়ে দিতে পারেন না মৃত্যুর পর। জমির ভাগ-বাটোয়ারার জন্য ফেলে রাখতে হয় বাবার লাশ। শত বছর পরে ফিরে এলে তারা একবার ফিরেও তাকাবে না। এটাই সত্য। সৃষ্টিকর্তা হয়তো এ জন্যই পুনর্জন্মের পথ বন্ধ রেখেছেন।
(লেখাটি সাংবাদিক সানাউল হক সানির ফেসবুক আইডি থেকে সংগৃহীত)
Advertisement
এসইউ/এমএস