মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিবিসি বার্মিজ সার্ভিসকে মান্দালয় অঞ্চলে কর্মরত উদ্ধারকারী দলের একজন সদস্য বলেছেন, ‘ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি।’
Advertisement
তিনি বলেন, মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক বেশি, আমরা এখন শুধু এটুকুই বলতে পারি। কারণ উদ্ধার অভিযান চলছে।
তার কথায়, হতাহতদের সঠিক সংখ্যা এখনো জানা যায়নি। তবে এটি অন্তত শতাধিক।
আরও পড়ুন>>
Advertisement
এদিকে, শুক্রবার (২৮ মার্চ) মিয়ানমারে যে ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়, তা প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও অনুভূত হয়েছে। এর প্রভাবে সেখানেও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব ক্রমাগত বাড়ছে।
থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ইমার্জেন্সি মেডিসিন বলছে, নির্মাণাধীন ৩০ তলা ভবন ধসের ঘটনায় আগে যেখানে ৪৩ জন নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সেটি বেড়ে ৭০ জন হয়েছে।
তবে ধসের সময় ভবনটিতে প্রায় ৩২০ জন কর্মী ছিলেন এবং তাদের মধ্যে ২০ জনের মতো লিফটে আটকা পড়েন।
ওই ভবনের নিচে পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা অস্পষ্ট। উদ্ধারকারীরা জীবিতদের সন্ধান চালিয়ে যাওয়ার কারণে ঘটনাস্থলে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে।
Advertisement
এর আগে, তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানায়, ভূমিকম্পে মিয়ানমারে অন্তত ২৫ জন এবং থাইল্যান্ডে একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ব্যাংককে একটি বহুতল ভবন ধসে ৪৩ জন আটকা পড়েন বলে জানায় থাই পিবিএস।
এদিন তীব্র কম্পনে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের চাতুচাক জেলায় নির্মাণাধীন ওই ভবনটি ধসে পড়ে। এতে বহু নির্মাণশ্রমিক ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যাংককে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ভূমিকম্পের কারণে থাইল্যান্ডের স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে থাই এনকোয়ারার।
সূত্র: বিবিসি বাংলাকেএএ/