দেশজুড়ে

সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-অপহরণ মামলা

সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি-অপহরণ মামলা

দিনাজপুরে সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা করেছেন ওলিউর রহমান নয়ন নামে এক যুক্তরাজ্য প্রবাসী।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দিনগত রাতে দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় এ মামলা করেন তিনি।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মতিউর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বাদী ওলিউর রহমান দিনাজপুর শহরে মুন্সিপাড়া মহল্লার আব্দুস সালাম তালুকদারের ছেলে। এতদিন মামলার অনুকূল পরিবেশ ছিল না দাবি করে ঘটনার প্রায় ৯ বছর তিন মাস এ মামলা করেন বাদী।

Advertisement

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা সভাপতি আবু ইবনে রজবী, আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান, রশিদুল ইসলাম, দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী সমিতির সভাপতি মাসুদ আলম, ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা ও ঠিকাদার শাহ আলম, ধীমান সরকার, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মুক্তি বাবু ও যুব মহিলা লীগ নেত্রী সৈয়দা সেলিনা মমতাজ। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারির মাসে প্রথম সপ্তাহে তিনি শহরে মুন্সিপাড়া লুৎফুন্নেসা টাওয়ারে তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় রিজ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৎকালীন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানকে দিয়ে উদ্বোধন করেছিলেন। উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে আসামিরা তার ওপরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। সে কারণে প্রায় এক বছর পর ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে তার প্রতিষ্ঠানে এসে হুমকি দেন ও ইকবালুর রহিমকে না নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করায় তার কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।

দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ২৬ জানুয়ারি দুপুরে বাদী ওলিউর রহমান নয়নকে অপহরণ করে আবু ইবনে রজব সদর উপজেলার বাঙ্গিবেচা ঘাটের পাশে তার রিসোর্টে নিয়ে আটকে রাখেন। পরে আসামিদের নির্যাতনে বাধ্য হয়ে বাদী ওই দিন বিকেলে তার স্কুলের কর্মচারী সাক্ষী মিজানুর রহমান ও মিজানুর রহমান জুয়েলের মাধ্যমে আসামি রশিদুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান জিয়া এবং ধীমান সরকারকে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা হিসেবে পরিশোধ করেন। আসামিরা চাঁদা পেয়ে অবশিষ্ট ৭০ লাখ টাকা স্বল্প সময়ের মধ্যে দেওয়ার অঙ্গীকারে ওলিউরকে ছেড়ে দেন।

ওলিউর রহমান মামলায় অভিযোগ করেন, হুইপ ইকবালুর রহিমের প্রভাবে পরবর্তীতে আসামি সৈয়দা সেলিনা মমতাজ বাদি হয়ে তার কন্যাকে ভিকটিম সাজিয়ে অলিউর রহমানের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা করেন। একটি নিয়মিত মামলা এবং অপরটি নারী নির্যাতন আইনে। মামলা দুটি অর্থের বিনিময়ে আপসে নিষ্পত্তি করা হয়। এরপর অলিউর রহমান নয়ন নিরাপত্তার অভাবে দেশ ছেড়ে যুক্তরাজ্য চলে যান।

Advertisement

এ বিষয়ে বাদী ওলিউর রহমান বলেন, এতদিন নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশের বাইরে ছিলাম। বর্তমানে নিরাপত্তা শঙ্কার কাটায় এবং মামলার জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় মামলা করেছি। আশা করছি আমি ন্যায় বিচার পাবো।

এমদাদুল হক মিলন/এমএন/এএসএম