কুয়ালালামপুরের পাঁচটি স্থানে টহল বৃদ্ধি করেছে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ। আসন্ন হরি রায়া ঈদুল ফিতরের ছুটিতে রাজধানীতে বিদেশিদের প্রচুর সমাগম ঘটে। রাজধানী কুয়ালালামপরের বিদেশিদের সমাগম এমন পাঁচটি হটস্পটে মালয়েশিয়ান ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট টহল জোরদার করেছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর ওয়ান মোহাম্মদ সৌপি ওয়ান ইউসুফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, মেনারা কেএলসিসি, মসজিদ ইন্ডিয়া, কোটা রায়া, জালান সিলাং এবং বুকিত বিনতাং-এলাকায় টহল জোরদার করা হবে।
টহলে ইমিগ্রেশন কর্মীদের দায়িত্ব হলো বিদেশিরা যেন অভিবাসন আইন মেনে চলে। স্থানীয় এবং বিদেশি পর্যটকদের জন্য এলাকাটি আরামদায়ক হয়, বিশেষ করে রায়া ছুটিতে তা নিশ্চিত করা।
জিআইএম কুয়ালালামপুর সর্বদা সচেতন যে জনগণ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর উপস্থিতি এবং অস্তিত্বের গুরুত্ব অনুভব করে বলেও তিনি বিবৃতিতে জানান।
Advertisement
তার মতে, ঈদুল ফিতরের সময় বিদেশিরা বিভিন্ন স্থানে ভিড় জমান তাদের সবাই অবৈধ অভিবাসী নন। তিনি বলেন, জনসাধারণকে অনুরোধ করা হচ্ছে যে তারা সব বিদেশিকে অবৈধ হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য খুব তাড়াহুড়ো করবেন না এবং তাদের আশ্বস্ত করবেন যে কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগ সর্বদা প্রতিটি শহরের বাসিন্দার আরাম নিশ্চিত করার জন্য তার কর্তব্য পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এমন কিছু লোক আছে যাদের বৈধ কাগজপত্র আছে এবং তারা ঈদুল ফিতরের সাথে ছুটি কাটানোর সুযোগ নিয়েছে। তারা বন্ধুদের সাথে দেখা করার, দেশবাসীর সাথে একত্রিত হওয়ার এবং আরও অনেক কিছু করার সুযোগ নিচ্ছে, এই বিষয়টি সমাজ নেতিবাচকভাবে দেখবে না।
অন্য একটি ঘটনায় ডাইরেক্টর বলেন, জানুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত রাজধানীজুড়ে তার দল মোট ১৫০টি অভিযান পরিচালনা করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি নাগরিকসহ মোট ১,০৯৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের মধ্যে চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামের নাগরিক।
Advertisement
এমআরএম/জেআইএম