ইতালির রাজধানী রোম, বাণিজ্যিক নগর মিলানো, ভূমধ্যসাগরের বুকে ভাসমান শহর ভেনিস, আগ্নেয়গিরির শহর নাপলিসহ বিভিন্ন শহরে মুসলিম অভিবাসীরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করেছেন।
Advertisement
ইতালিসহ ইউরোপের দেশগুলোয় সাধারণত সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রমজান মাসের সিয়াম পালন এবং ঈদ উদযাপন করা হয়। এ বছর সাপ্তাহিক ছুটির দিন রোববারে ঈদ হওয়ায় ব্যাপক সংখ্যক মুসলিম সমবেত হন ঈদ জামাতে। শিশু-কিশোরদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
সকালে ঈদের জামাত শেষে মুসল্লিরা শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান এবং পানশালাগুলোয় আড্ডায় মেতে উঠেন। ঈদের নতুন পোশাক পরে শিশু কিশোরদের স্থানীয় পার্কগুলোয় খেলাধুলা করতে দেখা যায়।
ইতালির ঈদ জামাতগুলোয় নারীদেরও অংশগ্রহণ চোখে পড়ে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশাপাশি ঈদ উৎসবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিমদের উপস্থিতি দেখা যায়। তারা নিজস্ব সংস্কৃতির পোশাক পরে ঈদের নামাজে শামিল হন। এ সময় অনেকে নিজ নিজ সংস্কৃতির মিষ্টান্ন নিয়ে আসেন এবং উপস্থিত সবাইকে তা দিয়ে আপ্যায়ন করেন।
Advertisement
মসজিদুল ইত্তেহাদের খতিব হাফেজ মাওলানা আরিফ মাহমুদ ঈদের খুতবায় বলেন, ঈদ সর্বজনীন কোনো উৎসব নয়। এটি রোজাদার মুসলিমদের উৎসব। ইসলামের সংস্কৃতি মতো ঈদ উদযাপন হওয়া উচিত। সর্বজনীনের নামে মুসলিম সংস্কৃতির সাথে অন্য কিছু মিলিয়ে ফেলা উচিত নয়, এতে প্রবাসের নতুন প্রজন্ম ইসলামের বিকৃত সংস্কৃতের সাথে অভ্যস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
ঈদের নামাজ শেষে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের কল্যাণ কামনা এবং ফিলিস্তিনি মুসলিমদের শান্তি কামনা করে দোয়া, মোনাজাত করা হয়।
এমআরএম
Advertisement