মাহাফুজুল হক চৌধুরী
Advertisement
আজ মধ্যপ্রাচ্য ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক দেশে উদযাপিত হয়েছে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। আরব দেশগুলিতে সৌদি আরবের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঈদের ঘোষণা করা হয়। আরব আমিরাতের সবচেয়ে বড় মসজিদ রাজধানী আবুধাবিতে অবস্থিত শেখ জায়েদ মসজিদে ঈদের নামাজের সবচেয়ে বড় সমাগম হয়।
রোববার (৩০ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। আমিরাতের প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে এদেশের প্রথম সারির সরকারি/বেসরকারি কর্মরত শেখরা এই মসজিদে নামাজ আদায় করে। সরকারি কূটনৈতিক ব্যক্তিরা এ মসজিদে নামাজ আদায় করার কারণে সারারাত থেকে মসজিদে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরধার করা হয়, তবে কূটনৈতিক ব্যক্তিরা এ মসজিদে নামাজ আদায় করলেও সাধারণদের প্রবেশে কোনো বাঁধা নেই।
এখানে সব দেশের পেশাজীবী মানুষকে নামাজ আদায়ের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে মসজিদের ভেতর প্রবেশ করতে অনেক সময় লেগে যায়। মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করার জন্য রাত ৩টা থেকেই মুসল্লিরা মসজিদে আসা শুরু করে।
Advertisement
মসজিদের ভেতর প্রবেশ করার আগে প্রথম সিকিউরিটি গেটে কোনো বাধা না থাকলেও দ্বিতীয় সিকিউরিটি গেট থেকে বডি চেকিং এর মাধ্যমে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। যেহেতু এখানে সরকারের কূটনৈতিক ব্যক্তিরাও নামাজ আদায় করতে এসেছেন তাই সিকিউরিটি ব্যবস্থা এতটাই কড়াকড়ি যে গেটের বাহিরে হাজার হাজার মানুষের ভীড় জমে যায় কিন্তু মসজিদের ভেতর ঢুকার আগেই নামাজ শুরু হয়ে যায়।
যার ফলে নামাজ পড়তে আসা এক তৃতীয়াংশ লোক ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না তারা বাহিরে নামাজ আদায় করে। মুসল্লিদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে আগত মুসলিম/অমুসলিমরা পরিবার নিয়ে ঈদের জামাত দেখতে আসার কারণেও অতিরিক্ত ভিড়জমে যায়।
২০০৭ সালে নির্মিত হওয়া শেখ জায়েদ মসজিদটি আরব আমিরাতের আয়তনে সবচেয়ে বড় মসজিদ ও বিশ্বের ২৩তম বৃহত্তম মসজিদ। এই মসজিদের ভেতরে ৪১০০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও এখানে অমুসলিম জিটরদেরও প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। তবে কিছু নিয়ম কানুনের মধ্য দিয়ে তারা ভেতরে প্রবেশ করতে পারে।
এমআরএম
Advertisement