পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Advertisement
অর্থাৎ কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা লভ্যাংশ হিসেবে ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে নগদ ১৭৫ টাকা এবং সাড়ে ১৭টি সাধারণ শেয়ার পাবেন।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে। লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের নেওয়া সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২১ মে। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ এপ্রিল।
কোম্পানির সংরক্ষিত পুঁজি থেকে বা যে মুনাফা এখনো হয়নি তার ভিত্তিতে এই বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়া হবে না। এমনকি কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ক্ষতি করেও এই লভ্যাংশ দেওয়া হবে না।
Advertisement
সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) করেছে ৪ টাকা ৮৬ পয়সা। এই মুনাফার ওপর ভিত্তি করে কোম্পানি নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আর ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৬৩ পয়সা।
ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-কে জানিয়েছে, পুঁজিভিত্তি শক্তিশালী করতে বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়া হবে। ব্যাংকের সম্ভাব্য ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি এবং আইন অনুসারে কিছু অনুপাত বৃদ্ধি করতে এই লভ্যাংশ দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানির পুঞ্জিভূত মুনাফা থেকে এই বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়া হবে।
ব্যাংকটির কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, কোম্পানির সংরক্ষিত পুঁজি থেকে বা যে মুনাফা এখনো হয়নি তার ভিত্তিতে এই বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেওয়া হবে না। এমনকি কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের ক্ষতি করেও এই লভ্যাংশ দেওয়া হবে না।
ইস্টার্ন ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২০ বছর ধরে ৩ শতাংশের ঘরে। এর আগের ২০২৩, ২০২২ ও ২০২১ সালে ব্যাংকটি বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১২ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। তার আগে ২০২০ সালে সাড়ে ১৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ১৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয়। অর্থাৎ চার বছরের মধ্যে এবার ব্যাংকটি সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Advertisement
২০২০ সালের আগে ২০১৯ সালে ১৫ শতাংশ নগদ, ২০১৮ সালে ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার, ২০১৭ সালে ২০ শতাংশ নগদ, ২০১৬ সালে ২০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার এবং ২০১৫ সালে ২০ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দেয় ব্যাংকটি।
বর্তমানে ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৩৫৮ কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ১৩৫ কোটি ৮১ লাখ ৩৯ হাজার ৫৪টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে আছে ৩০ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার। বাকি শেয়ারের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৪ দশমিক ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৪ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে দশমিক ৪৯ শতাংশ আছে।
এমএএস/এমএইচআর/এএসএম