দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এতে এ পর্যন্ত চারজন নিহত হয়েছেন এবং কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দাবানলে একটি ঐতিহাসিক বৌদ্ধ মন্দির সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ইউনেস্কো তালিকাভুক্ত হাহোয়ে ফোক ভিলেজ খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
গত সোমবার থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় একাধিক স্থানে দাবানল শুরু হয়। মঙ্গলবার দেশটির ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কো কি-ডং জানান, দাবানলে প্রায় ১৪ হাজার ৬৯৪ হেক্টর (৩৬ হাজার ৩১০ একর) এলাকা পুড়ে গেছে, যা ক্রমশ বাড়ছে।
আরও পড়ুন>>
দক্ষিণ কোরিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ২০টির বেশি দাবানল, ২ দমকলকর্মীর মৃত্যু দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রাণঘাতী দাবানল, সরিয়ে নেওয়া হলো হাজারও মানুষ ভুল করে বাড়ির ওপর বোমা ফেললো দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধবিমানদক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এটি তৃতীয় বৃহত্তম দাবানল। ২০০০ সালের এপ্রিল মাসে দেশটির পূর্ব উপকূলে সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল দেখা গিয়েছিল, যেখানে ২৩ হাজার ৯১৩ হেক্টর (৫৯ হাজার ৯০ একর) এলাকা পুড়ে যায়।
Advertisement
সরকার দাবানলের ভয়াবহতা বিবেচনায় চারটি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে উইসিয়ং এবং আন্দং। উইসিয়ংয়ের দাবানল মঙ্গলবার ইউনেস্কোর তালিকাভুক্ত হাহোয়ে ফোক ভিলেজের দিকে অগ্রসর হলে স্থানীয় প্রশাসন বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
ঐতিহাসিক গউনসা মন্দির ধ্বংসএক হাজার বছরের পুরোনো গউনসা বৌদ্ধ মন্দির দাবানলের কারণে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। সকাল থেকেই মন্দিরের কর্মীরা মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সরানোর চেষ্টা করছিলেন এবং আগুন প্রতিরোধী চাদর দিয়ে বিশালাকৃতির গিল্ডেড বুদ্ধ মূর্তিকে ঢেকে দেন। কিন্তু বিকেলের মধ্যে আগুন পুরো মন্দিরকে গ্রাস করে ফেলে।
কোরিয়া হেরিটেজ সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, মন্দিরটি পুড়ে গেছে। এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা।
দাবানল নেভাতে ব্যাপক তৎপরতাজানা গেছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে ৬ হাজার ৭০০ এর বেশি দমকলকর্মী কাজ করছেন, যার মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ কর্মী শুধু উইসিয়ং এলাকায় নিয়োজিত। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, তীব্র বাতাস এবং শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, যা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
Advertisement
সূত্র: এএফপিকেএএ/