স্বাস্থ্য

স্বাধীনতা দিবসে বিএমইউয়ের শ্রদ্ধা

স্বাধীনতা দিবসে বিএমইউয়ের শ্রদ্ধা

নানান আয়োজন ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এছাড়া দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত, বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে রোগীদের জন্য উন্নতমানের খাবার পরিবেশন ইত্যাদি।

Advertisement

জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক এ দিবস উপলক্ষে বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, অফিস প্রধান, শিক্ষক, সহকারী প্রক্টর, ছাত্রছাত্রী, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পুষ্পস্তবক অপর্ণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। এরপর বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনায় মোনাজাত করা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে রোগীদের জন্য উন্নত মানের খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা করা হয়।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদ এবং জুলাই আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন মানুষের বাক স্বাধীনতা ছিল না। বর্তমানে মানুষ মুক্তভাবে কথা বলতে পারছে। বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার এটাই শেষ সুযোগ। সব ধরনের নৈরাজ্য মোকাবিলা করে, ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে।

আরও পড়ুনকেবল শ্রদ্ধা জানাতে পরিষ্কার হয় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্থাপনাজামায়াতকে যারা স্বাধীনতাবিরোধী বলে তাদের অনেকের বাবা রাজাকার ছিল

প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, জাতীয় ঐক্য ধরে রেখে সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। অতি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজনও এখন সময়েরই দাবি।

Advertisement

কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ (ট্রেজারার) অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফারহানা আমিন, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন, ডা. মো. রহুল কুদ্দুস বিপ্লব, ডা. মো. সহিদুল ইসলাম, ডা. আবু হেনা হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ডা. শাহরিয়ার শামস লস্কর, ডা. আকবর হোসাইন, কর্মকর্তা খন্দকার শফিকুল হাসান, মো. মাসুদ রানা, সাবিনা ইয়াসমিন, মো. লুৎফর রহমান, মো. মারুফ হোসেন, মো. হুমায়ুন কবীর, মো. মাহমুদুল হাসান আমিন, মোহা. মাশিউর রহমান, মো. আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ আবু নাজির প্রমুখ।

এসইউজে/কেএসআর/জেআইএম