দীর্ঘদিন পর এবার ভিন্ন আমেজে ইফতার পার্টি করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। দলটির নেতাকর্মীদের ভাষায়, পতিত শেখ হাসিনা সরকারের পতনের কারণে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে সারাদেশে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছেন তারা। এই আয়োজনের মাধ্যমে আগামী নির্বাচন সামনে রেখে দলের বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।
Advertisement
বিএনপি নেতারা বলছেন, স্বাভাবিকভাবেই আগামী নির্বাচন সামনে রেখে এবারের ইফতার পার্টিতে দলের বিশেষ বার্তা তারা পৌঁছে দিচ্ছেন। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পতনের পর এবারের ইফতার পার্টি বেশ প্রাণবন্ত ছিল বলে মনে করছেন তারা। ইফতার পার্টির মাধ্যমে এক ধরনের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার হাওয়া তৈরি হয়েছে বলেও মনে করেন দলটি নেতারা।
বিএনপি নেতাকর্মীদের ইফতার মাহফিল তৎপরতাবিগত দেড় দশক মামলা হামলা হয়রানি নিয়েই রমজানে ইফতার মাহফিল করতে হয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। আত্মগোপন বা কারাবরণ ছিল বড় সংখ্যার নেতাকর্মীদের নিত্যনৈমিত্তিক জীবনযাপনের রুটিন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বিএনপি নেতাকর্মীদের সেই প্রতিবন্ধকতা নেই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নিষ্ক্রিয়তায় দৃশ্যমান দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল।
আরও পড়ুন
Advertisement
রমজানের প্রথম দিন বিএনপির পক্ষ থেকে যথারীতি রাজধানীর লেডিস ক্লাবে এতিম ও আলেম-ওলামা মাশায়েখদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ ধরনের আয়োজনে দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া উপস্থিত থাকলেও বিগত কয়েক বছর তার কারাবরণ এবং শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে এসব কর্মসূচিতে তিনি থাকতে পারছেন না। তবে কয়েক বছর রমজানে ইফতার মাহফিলের মঞ্চের মাঝখানের আসনটি খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির শূন্যতা কাটাতে চেয়ারটা ফাঁকা রাখা হতো। এবার সেটাও হয়নি। খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য এখন লন্ডনে।
শহীদ, গুম ও নির্যাতনের শিকার পরিবারে ঈদ উপহার-ছবি সংগৃহীত
গত ৬ মার্চ রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে কূটনীতিক, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিএনপি। বিগত দেড় দশক ধরে এই কর্মসূচি কাভারের সুযোগ দিলেও এবার বিএনপি বিটের রিপোর্টারদের সেখানে নিষিদ্ধ করা হয়।
আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি জাতীয় নির্বাচন এ বছরই হবে। সরকার দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করবে। রমজান মাস উপলক্ষে বিশেষ কোনো কর্মসূচি এখনো দল থেকে ঘোষণা আসেনি। তবে ইফতার পার্টির মাধ্যমে এক ধরনের নির্বাচনী হাওয়া তৈরি হবে বলে মনে করি।
Advertisement
গত ১৯ মার্চ রাজধানীর লেডিস ক্লাবে অনুষ্ঠিত রাজনীতিবিদদের সম্মানে বিএনপির ইফতার মাহফিলে আওয়ামী লীগ এবং তাদের ঘনিষ্ঠ ছাড়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের নেতারা এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
গত ২১ মার্চ রাজধানীর লেডিস ক্লাবে পেশাজীবী নেতাদের সম্মানে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে প্রবেশের সময় বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে দুই ফটোকেই হয়রানি হেনস্তার শিকার হতে হয় দায়িত্বরত দলের স্বেচ্ছাসেবকদের হাতে।
আরও পড়ুন
সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টা চলছে: তারেক রহমান ইনভেস্টমেন্ট সামিটে আমন্ত্রণ পাচ্ছে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিগত ১২ মার্চ রাজধানীর হোটেল লেকশোরে 'আমরা বিএনপির পরিবারের’ পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
গত ১৪ মার্চ সাংবাদিকদের সম্মানে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের পক্ষ থেকে যৌথভাবে রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। হোটেলটির প্রধান ফটকে দাঁড়িয়ে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এবং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।
গত ২৪ মার্চ সাংবাদিকদের সম্মানে রাজধানীর লেডিস ক্লাবে বিএনপির মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
নিকট অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনসমূহের কেন্দ্রীয় ইফতার মাহফিল কর্মসূচি অনেক বেশি গোছালো এবং সুশৃঙ্খল হয়েছে। কেন্দ্রীয় এই কর্মসূচি পালনে অনেক নেতাকর্মী যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করলেও বিএনপি'র এবারের ইফতার কর্মসূচি সফল করার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে প্রথমে যে নামটি আসে তিনি দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রতিটা ইফতার মাহফিলে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি নেতাকর্মীদের শান্তির বার্তা দিচ্ছেন।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিএনপির ইফতার-ছবি সংগৃহীত
এছাড়া মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোর ইফতার মাহফিলেও একই বার্তা দিচ্ছেন তিনি। এসব কর্মসূচিতে তারেক রহমান যুক্ত হওয়ার কারণে কর্মসূচির যথাযথ শৃঙ্খলা বজায় রাখার আপ্রাণ চেষ্টা থাকে বিএনপির। তারেক রহমানের পাশাপাশি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নশু, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রসিদ হাবিব, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ , আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার এবারের ইফতার মাহফিল কর্মসূচি সফল করতে বেশ পরিশ্রম করছেন।
অতীতে পুলিশ আওয়ামী লীগের যৌথ হামলা মামলা হয়রানির কারণে আমরা স্বাভাবিক কর্মসূচি পালন তো দূরের কথা বাড়িতে থাকতে পারিনি। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। এবার বিএনপির পক্ষ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে ইফতার করছে।
আরও পড়ুন
বিএনপির সম্মানে পাকিস্তান হাইকমিশনারের ইফতার যে কোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখতে হবেভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোর ইফতার মাহফিলেও অংশ নিয়েছেন। তবে অসুস্থতাজনিত কারণে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবারের ইফতার মাহফিলগুলোতে অতীতের মতো সক্রিয় থাকতে পারেননি।
এবার রমজানে ছিল বিএনপির বিশেষ নির্দেশনাবিএনপির কেন্দ্রীয় ইফতার কর্মচারীর বাইরে সারাদেশে দলটির ১০টি সাংগঠনিক বিভাগে বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা দলের নির্দেশনা অনুযায়ী ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। পবিত্র মাহে রমজানে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পাঁচ দফা নির্দেশনা দেয় বিএনপি। দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, এই রমজান মাসে দলের পক্ষ থেকে তৃণমূল স্তর থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বাহুল্য পরিত্যাগ করে অনাড়ম্বরপূর্ণভাবে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠান করতে হবে। এক্ষেত্রে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ সারাদেশে ওয়ার্ড পর্যায়ে মসজিদ কিংবা বাজার সংলগ্ন খোলা জায়গায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলের উদ্যোগ নিতে হবে। ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। ব্যানারে শুধু ‘ইফতার ও দোয়া মাহফিল’ লেখা থাকবে।
২০ রমজানের মধ্যে ইফতার ও দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে ওই নির্দেশনায় বলা হয়।
জামায়াতের ইফতারে বিএনপি-ছবি সংগৃহীত
ইফতার মাহফিলে বিএনপির অস্বস্তিদীর্ঘদিন পর বাধাহীন পরিবেশে ব্যাপকভাবে সারাদেশে ইফতার কর্মসূচি পালনের সুযোগ পেলেও দলটির নেতাকর্মীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল গোটা দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। রমজান মাসের এই কদিনে ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে বেশকিছু শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, যা বিএনপির জন্য ভীষণ অস্বস্তিদায়ক। বিএনপি নেতাকর্মীদের নেতিবাচক এসব কর্মকাণ্ডের সংবাদের শিরোনামের মধ্যে রয়েছে- ‘ময়মনসিংহের নান্দাইলে ইফতার মাহফিলে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০, ১৪৪ ধারা জারি ’, ‘নান্দাইলে বিএনপির ইফতারে হামলা: যুবদলের বহিষ্কৃত তিন নেতাসহ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা’, ‘নান্দাইলে ইফতার নিয়ে সংঘর্ষের পর পৌর বিএনপির আহ্বায়ককে অব্যাহতি’, ‘রাউজানে বিএনপির ইফতার অনুষ্ঠানে দুপক্ষের সংঘর্ষ, গোলাগুলি’, ‘সিরাজগঞ্জে ইফতার মাহফিল নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৮,’ ‘সিরাজগঞ্জে ইফতার মাহফিল নিয়ে সংঘাতে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: দুই বিএনপি নেতার পদ স্থগিত, তদন্ত কমিটি গঠন’ ফেনীর সোনাগাজীতে পাল্টাপাল্টি ইফতার মাহফিল কেন্দ্র করে ছাত্রদল-যুবদলের সংঘর্ষ, আহত ১৩’, ‘সিরাজগঞ্জে ইফতার মাহফিল ঘিরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ: ছাত্রদল নেতার মৃত্যু’, ‘রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১’ , ‘সাভারে আমন্ত্রণ না পেয়ে যুবদলের ইফতার পণ্ড করলেন দুই বিএনপি নেতা’, ‘টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বিএনপির ইফতার মাহফিলে আওয়ামী লীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়!’
ইফতার মাহফিল নিয়ে বিএনপি নেতাদের ভাষ্যবিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জাগো নিউজকে জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে দলের পক্ষ থেকে প্রতি বছরের মতো এবারও এতিম আলেম-ওলামা মাশায়েখ, রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী নেতা এবং কূটনৈতিকদের সম্মানে চারটি ইফতার মাহফিল, বিএনপির তিনটি অঙ্গ সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটি যৌথভাবে, আমরা বিএনপি পরিবার সেল এবং মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে বিভিন্ন ইউনিটের পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিলের আয়োজন হয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সভাপতি আমিনুল হক বলেন, ঢাকা মহানগরের পক্ষ থেকে আমরা এবার ইফতার মাহফিল করছি না। এবার শুধু কেন্দ্রীয় যে কয়েকটা ইফতার মাহফিল হয় সেটা হবে। আমরা বিভিন্ন পয়েন্টে সাধারণ মানুষের মধ্যে ইফতার বিলি করছি।
বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, চাকচিক্য আনুষ্ঠানিকতার ইফতার মাহফিল এড়িয়ে একদম তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে সাধারণ মানুষের নিবিড় সম্পর্ক গড়ার জন্য এবারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি জাতীয় নির্বাচন এ বছরই হবে। সরকার দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করবে। রমজান মাস উপলক্ষে বিশেষ কোনো কর্মসূচি এখনো দল থেকে ঘোষণা আসেনি। তবে ইফতার পার্টির মাধ্যমে এক ধরনের নির্বাচনী হাওয়া তৈরি হবে বলে মনে করি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, অতীতে পুলিশ আওয়ামী লীগের যৌথ হামলা মামলা হয়রানির কারণে আমরা স্বাভাবিক কর্মসূচি পালন তো দূরের কথা বাড়িতে থাকতে পারিনি। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। এবার বিএনপির পক্ষ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে ইফতার করছে।
বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু জাগো নিউজকে বলেন, দলকে সংগঠিত করা, দাবি, সজাগ থাকা এবং গণতন্ত্রের প্রতি যাতে নিবেদিত হয়, এই বার্তা ইফতার মাহফিলে নেতাকর্মীদের দেওয়া হচ্ছে।
কেএইচ/এসএইচএস/এমএস