দেশজুড়ে

ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে ডাকাত আতঙ্ক, ইমামকে অপহরণ

ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে ডাকাত আতঙ্ক, ইমামকে অপহরণ

কক্সবাজারের ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কে দুদিনের ব্যবধানে একাধিক সশস্ত্র অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের হিমছড়ি ঢালায় ব্যারিকেড দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা থামিয়ে যাত্রীদের মারধর করে ও লুটপাট চালানো হয়। এসময় আজিজুর রহমান আজিজী নামের একজনকে পাহাড়ে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

Advertisement

অপহরণের শিকার আজিজুর রহমান একটি মসজিদের ইমাম ও বড়বিল এবতেদায়ি নুরানি মাদরাসার প্রধান শিক্ষক।

সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে ঈদগড়-বাইশারী সড়কের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বেঙডেবা মুখ এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী আজিজ মিয়া জানান, তিনি গর্জনিয়া বাজার থেকে মহিষ কিনে পিকআপযোগে ঈদগাঁও নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একদল অস্ত্রধারী তাদের পথরোধ করে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় দুর্বৃত্তরা তাকে এবং তার ভাইকে মারধর করেন। একপর্যায়ে পাঁচ রাউন্ড গুলি ছুড়ে মহিষটি পাহাড়ের দিকে নিয়ে যান তারা।

Advertisement

এদিকে, মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে অপহরণের শিকার ব্যক্তির পরিবার জানায়, আজিজুর রহমান তার স্ত্রীকে নিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে এক আত্মীয়ের জানাজায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন। পথে ১২-১৫ জন অস্ত্রধারী তাদের আক্রমণ করে। তারা অন্যান্য যাত্রীদের মারধর করে নগদ টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী লুটে নেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঈদগড় বাজারের ব্যবসায়ী জাগির হোছাইন ঈদগাঁও থেকে ঈদগড় যাওয়ার পথে অপহরণের শিকার হন। পরে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তাকে মুক্ত করা হয়।

এক মাসের ব্যবধানে একাধিক ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনায় ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়ক ও আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় এই অঞ্চলে অপরাধীরা নির্বিঘ্নে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী বলেন, ইমাম অপহরণের ঘটনাটি আমার থানার আওতাভুক্ত নয়, এটি ঈদগাঁও থানার অধীনে। তবে বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছি।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, লুট হওয়া মহিষের মালিক বিভিন্ন সময়ে একেক ধরনের তথ্য দিচ্ছেন। মহিষের মালিক রাজারকুলের বাসিন্দা। তাই তিনি সাধারণত রামু সড়ক ব্যবহার করে যাতায়াত করেন। কিন্তু তিনি কেন নাইক্ষ্যংছড়ি, বাইশারী ও ঈদগড়ের দিকে গেছেন তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা এখনো পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্যদিকে, ঈদগাঁও থানার ওসি মছিউর রহমান বলেন, মসজিদের ইমাম অপহৃত হয়েছেন বলে তার স্ত্রীর কাছ থেকে জানতে পেরেছি। ঘটনার পরপরই পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশ কাজ করছে।

সায়ীদ আলমগীর/এসআর/এমএস