ঈদে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো যাত্রীদের বরণ করতে নানা ধরনের প্রস্তুতি চলছে বরিশাল নদীবন্দরে। পন্টুনগুলোর ভাঙাচোরা অংশের ঝালাই ও রঙের আঁচড়ে নতুন রূপে চলছে সাজসজ্জার কাজ। এর বিপরীতে লঞ্চগুলো ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করলেও ভিড় নেই কোনো কাউন্টারে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে বরিশাল নদীবন্দর ও বেশ কয়েকটি কাউন্টার ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
বরিশাল নদীবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের বরণে পন্টুনগুলোর ভাঙাচোরা অংশের মেরামত কাজ করছেন শ্রমিকরা। কেউ কেউ আবার করছেন রঙের কাজ। সবমিলিয়ে নদীবন্দরের পন্টুনগুলো ঢেলে সাজাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য লঞ্চ কর্তৃপক্ষ আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করলেও নগরীর বেশিরভাগ টিকিট কাউন্টারগুলোই দেখা গেছে ফাঁকা।
Advertisement
মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর বেশ কয়েকটি লঞ্চের কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীচাপ না থাকায় বেশিরভাগ কাউন্টারের স্টাফরা অলস সময় পার করছেন। তারা জানান, পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকেই যাত্রী-খরায় ভুগছে লঞ্চগুলো। পাল্টে গেছে লঞ্চগুলোর সেই চিরচেনা রূপ।
দু’বছর আগেও ভিড় ও ঝক্কিঝামেলা এড়াতে যাতায়াতে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ ঢাকা থেকে যেতে নদীপথকেই বেছে নিতেন। তবে পদ্মা সেতু হওয়ায় বদলে গেছে পরিস্থিতি। লঞ্চের আগাম টিকিট বিক্রি চললেও নেই চিরচেনা সেই যাত্রীচাপ।
কাউন্টার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৫ রমজান থেকে ঈদের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে শুরুতে কোনো লোকজন না এলেও এখন ঈদের আগ মুহূর্তের টিকিটের জন্য লোকজন আসছেন।
সুন্দরবন লঞ্চের কাউন্টার ইনচার্জ শাকিল ইসলাম জানান, এখন আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে টিকিট বিক্রি চলছে। কিন্তু সেই আগের মতো চিরচেনা ভিড় নেই কাউন্টারে।
Advertisement
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপ-পরিচালক ও বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মোহাম্মদ শেখ সেলিম রেজা জাগো নিউজকে বলেন, যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতেই পন্টুনে মেরামত ও সাজসজ্জার কাজ চলছে। এছাড়া ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবেন।
শাওন খান/এসআর/এএসএম