রংপুরে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে ব্রয়লার ও পাকিস্তানি মুরগিসহ কিছু সবজির। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, তেল, মাছ ও মাংসের দাম।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৩২ টাকা থেকে বেড়ে ৩৮ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। খুচরা বাজারে সেই ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকা। গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে ডিমের হালি ছিল ৩৬-৩৮ টাকা।
সিটি বাজারের ডিম বিক্রেতা আজাদ হোসেন বলেন, খামার থেকে ডিমের দাম বাড়ানো হয়েছে। এ কারণে পাইকারি ও খুচরা বাজারে দামের প্রভাব পড়ছে।
বাজারে প্রতিকেজি টমেটো গত সপ্তাহের মতো ১৫-২০ টাকা, গাজর ২০-২৫ টাকা, ঝিঙার দাম কমে ১১০-১২০ টাকা থেকে ৮০-৯০ টাক, ফুলকপি ১৫-২০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ১০-১৫ টাকা পিস, চালকুমড়া (আকারভেদে) ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলা ২৫-৩০ টাকা হালি, দুধকুষি ৫০-৬০ টাকা, সজনে ১৫০-১৬০ টাকা, চিকন বেগুন ২৫-৩০ টাকা, গোল বেগুনের দাম বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, পটোল ৭০-৮০ টাকা, শিম ২৫-৩০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা, শসা ৩০-৩৫ টাকা থেকে লাফিয়ে হয়েছে ৫০-৬০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) ৩০-৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৭০ টাকা, লেবুর হালি ৩০-৩৫ টাকা, ধনেপাতা ৩০-৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২৫-৩০টাকা, শুকনা মরিচ ৪৫০-৫০০ টাকা এবং সব ধরনের শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
Advertisement
খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা, আদা ১০০-১২০ টাকা, রসুন ৮০-৯০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, নাগালের মধ্যে রয়েছে সব ধরনের আলুর দাম। কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের মতো ১৮-২০ টাকা কেজি, শিল আলু ৩০-৩৫ টাকা, ঝাউ আলু ৩০-৩৫ টাকা এবং দেশি বগুড়ার লাল পাগড়ি আলু ২২-২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজানের শুরু থেকে দাম স্থিতিশীল থাকলেও গত সপ্তাহের তুলনায় দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা থেকে বেড়ে ২১০-২২০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালি মুরগি ২৬০-২৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০০-৩১০ টাকা, দেশি মুরগি গত সপ্তাহের দরে ৫০০-৫৫০ টাকা এবং পাকিস্তানি লেয়ার ৩০০-৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত দরে ৭২০-৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১০০০-১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, সামনে ঈদ। ঈদের সময় মুরগির চাহিদা বাড়ে। সে তুলনায় আমদানি কম। এ কারণে গত তিনদিন থেকে দাম একটু চড়া।
Advertisement
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭৫ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মসুর ডাল (চিকন) ১৩০-১৪০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১৩০ টাকা, চিনি ১২০-১২৫ টাকা, ছোলাবুট ১০০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫০ টাকা, খোলা আটা ৪০-৪৫ টাকা এবং ময়দা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে আগের মতোই স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৮-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৮০-৮৫ টাকা. জিরাশাইল ৭৩-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৯০-৯৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৯৫-৯৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুই মাছ ২৭০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জিতু কবীর/আরএইচ/এমএস